দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিস্ময় প্রকাশ করার কারণ হলো আসবাবপত্রগুলো দেখে বোঝার উপায় নাই যে, এগুলো কংক্রিটের অর্থাৎ সিমেন্ট বালুর ঢালায়! এমনই কংক্রিট দিয়ে আসবাবপত্র সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন।
বর্তমানে অনেকেই কংক্রিট দিয়ে বাড়িঘর, সেতু বা কোনো বড় নির্মাণ প্রকল্পের দিকে ঝুঁকছেন। বর্তমানে রাজধানী ঢাকাতেও অনেক রাস্তা করা হচ্ছে কংক্রিট দিয়ে। তবে এবার আরও নতুন খবর হলো এখন কংক্রিট দিয়ে আসবাবপত্রও তৈরি করা হবে। উন্নত কার্বনে তৈরি হালকা অথচ মজবুত টেক্সটাইল কংক্রিট দিয়ে বাড়ি-ঘরের আসবাবপত্র ও অন্যান্য জিনিস তৈরি করার চেষ্টা চালাচ্ছে জার্মানির ড্রেসডেন ইউনিভার্সিটি।
এই টেক্সটাইল কংক্রিট দিয়ে দৈনন্দিন আসবাব তৈরির পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ইতিমধ্যেই সফল হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। কার্বনের জাল যোগ করে কংক্রিটের আরও একটি স্তরের মধ্যে সেটি বসানো হয়। সবশেষে চূড়ান্ত টেক্সটাইল কংক্রিট ২৪ ঘণ্টা সময় ধরে শক্ত করা হয়।
গবেষকরা পরীক্ষায় দেখেছেন, টেক্সটাইল কংক্রিট প্রচলিত রিইনফোর্সড কংক্রিটের থেকে ৬ গুণ বেশি মজবুত। তবে নতুন এই উপকরণের এতো গুণ থাকলেও সেটি ধ্বংস করা সম্ভব। ল্যাবে এবং হাতেকলমে বিভিন্ন পরীক্ষা হতে পাওয়া জ্ঞানের ভিত্তিতে বিজ্ঞানীরা আরও নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছেন।
এই বিষয়ে প্রোফেসর কুয়রবাখ বলেন, ‘আসলে ঘরের মধ্যে কংক্রিটের ব্যবহার খুব সহজে আশা করা যায় না। কারণ হলো কংক্রিট মোটা, বড়সড় এবং ভারি হওয়ায় বসার ঘরে এমন উপকরণ কেওই চান না। তবে কার্বন ব্যবহার করলে অত্যন্ত পাতলা করে তৈরি করা সম্ভব। ছোট পাতলা অংশ তৈরি করে তা দিয়ে চেয়ার, টেবিল কিংবা সোফাও তৈরি করা যায়।’
বর্তমান প্রজন্মের ইঞ্জিনিয়ার এবং ডিজাইনারদের সামনে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিচ্ছে এই টেক্সটাইল কংক্রিট। ভবিষ্যতে হয়তো এমন পাতলা এবং মজবুত টেক্সটাইল কংক্রিট দিয়ে আরও অনেক কিছুই তৈরি করা সম্ভব হবে- এমনটিই আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।