দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে ১৫টির বেশি সিম নিবন্ধন আইনটি কার্যকর হলে দেশের ৫০ লাখ সিম বন্ধ হতে পারে!
একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে ১৫টির বেশি সিম নিবন্ধন করা যাবে না বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে ১৫টির বেশি সিম নিবন্ধন আইনটি কার্যকর হলে দেশের ৫০ লাখ সিম বন্ধ হতে পারে!
যারা ১৫টির বেশি অতিরিক্ত সিম নিয়েছেন তাদের সেইসব অতিরিক্ত সিমগুলো বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এরকম অতিরক্তি সিম নেওয়া রয়েছে প্রায় ৫০ লাখ বলে জানানো হয়েছে। এসব সিম বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলেছে বিটিআরসি। পূর্বের ঘোষণা অনুসারে ২৮ ফেব্রুয়ারি ছিল গ্রাহকের নামে থাকা অতিরিক্ত সিম নিষ্ক্রিয় করার সময়সীমা। এই সময়ের মধ্যে তেমন সাড়াও পায়নি বিটিআরসি।
আগেই সিদ্ধান্ত জানানো হয় যে, প্রিপেইড, পোস্টপেইড মিলে একটি জাতীয় পরিচয়ত্রের বিপরীতে সর্বোচ্চ ১৫টি পর্যন্ত সিম নিবন্ধন করা যাবে। অপারেটরদেরকে জানানোর পাশাপাশি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে গ্রাহকদের বিষয়টি জানানো হয়।
এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে তখন বলা হয়েছিলো, ১৫টির বেশি নিবন্ধন করা সিম অবৈধ হিসেবে ধরা হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই অতিরিক্ত সিম নিস্ক্রিয় না করা হলে অপারেটরের মাধ্যমে বিটিআরসি নিজেই সেগুলো বন্ধ করে দেবে। এক্ষেত্রে গ্রাহকের যেকোনো সিমই বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
সংশ্লিষ্ট বিভাগ জানিয়েছে, তারা এমন প্রায় ৫০ লাখ সিমের সন্ধান পেয়েছেন যেগুলো অতিরিক্তের খাতায় চলে যাবে। যে কারণে তারা এখন এটি বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু করবেন।
বলা হয়, সময় পেরিয়ে গেলেও যে জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে ১৫টির বেশি সিম নিবন্ধন হয়েছে এমন গ্রাহকরা চাইলে তার পছন্দের নম্বরগুলো রেখে বাকিগুলো বন্ধ করে দিতে পারবেন।
তার জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে কয়টি সিমের নিবন্ধন রয়েছে সেটি জানতে *১৬০০১# ডায়াল করলে ফিরতি এসএমএসের এনআইডির নম্বরের শেষ চার ডিজিট লিখে দিলেই জানতে পারা যাবে যে তার নামে কয়টি সিমের নিবন্ধন রয়েছে।
উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর হতে সব বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোবাইলের সিমের নিবন্ধন করা হয়। তারআগে অবশ্য একটি এনআইডির বিপরীতে লক্ষাধিক সিমের নিবন্ধনের তথ্যও পাওয়া যায়। তারপরেই শুরু হয় সিমের বায়োমেট্রিক নিবিন্ধন। ২০১৬ সালের ডিসেম্বর হতে শুরু করে ২০১৭ সালের ৩১ এপ্রিল পর্যন্ত চলে এই নিবন্ধন প্রক্রিয়া।