দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মানুষ মাত্রই সুন্দরের পূজারী। সবাই চায় নিজেকে আরো সুন্দর করতে। কিন্তু ঘাড়ের কালো দাগ আপনার সুন্দর চেহারাকে অন্যদের কাছে অসুন্দর এবং কিছুটা অপরিচ্ছন্ন করে তোলে। আয়নায় যখন নিজেকে দেখেন আপনার চেহারার সাথে ঘাড়ের ত্বকের কোন মিল নেই তখন নিজের কাছেও অনেক খারাপ লাগে। আজ আমরা জানবো কিভাবে ঘাড়ের এই কালো দাগগুলো মাত্র ৭ দিনেই তুলে আপনার চেহারার সাথে সামঞ্জস্যতা বজায় রাখবেন।
প্রথমেই আমরা জানবো কেন ঘাড়ে এই কালো দাগগুলো সৃষ্টি হয়?
১। বিশেষ করে যারা একটু মোটা তাদের ঘাড়ে এই কালো দাগগুলো বেশি দেখা যায়।
২। আমরা অনেকেই গোসলের সময় ঘাড়ে হয়তো সাবান মাখি কিন্তু সাবান মাখার পূর্বে ভালভাবে ঘাড় পরিষ্কার করি না। সাবান কেবল ত্বকের উপরের আলগা ময়লাগুলো পরিষ্কার করে কিন্তু লোমকূপের ভিতরে আটকে পড়া ময়লা গুলো ভালভাবে না পরিষ্কার করলে পরবর্তীতে কালো দাগের সৃষ্টি হয়।
৩। ঘাম এবং ধুলাবালি মিশে ঘাড়ে একধরনের আস্তরণ পরে। কয়েক ঘন্টা এভাবে থাকলে এগুলো শুকিয়ে ঘাড়ে কালো দাগের সৃষ্টি করে।
কিভাবে এই কালো দাগ তুলবেন?
কালো দাগ তুলতে হলে আপনাকে একটি প্রাকৃতিক পেষ্ট তৈরি করতে হবে। এর জন্য আপনার লাগবে-
১। কাঁচা দুধ
২। চন্দন কাঠের গুড়া
৩। বেসন
৪। লেবুর রস।
প্রথমে ২ চা চামচ কাঁচা দুধের সাথে হাফ চা চামচ চন্দনের গুড়া ভালভাবে মিশিয়ে নিবেন। তারপর সেই মিশ্রণের মধ্যে এক চা চামচ বেসন বা চালের গুড়া এবং ১ চা চামচ লেবুর রস দিয়ে ভাল্ভাবে মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করুন। এখন গোসলের ১৫ মিনিট আগে ঠান্ডা পানি দিয়ে ঘাড় ভাল করে ধুয়ে তারপর মুছে নিন। এখন ঘাড়ে ওই পেষ্ট ভালভাবে মালিশ করে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। ভাল্ভাবে শুকিয়ে গেলে নরম কাপড় দিয়ে একটু চাপ দিয়ে ডলে ধুয়ে ফেলুন। একি ভাবে রাতে ঘুমানোর আগেও আবার নিতে পারেন। এভাবে এক সপ্তাহ ব্যবহার করুন। তারপর লক্ষ্য করুন এক সপ্তাহ আগে এবং বর্তমান আপনার ঘাড়ের ত্বক কেমন দেখাচ্ছে। একবার তৈরিকৃত পেষ্ট ঠান্ডা পরিবেশে রাখলে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করতে পারবেন।
পরবর্তীতে চেষ্টা করবেন ঘাড়ে যেন ধুলাবালি এবং ঘাম বেশিক্ষণ স্থায়ী না থাকে। তাই দৈনিক ৪-৫ বার ঘাড় ধোয়ার চেষ্টা করবেন। এই পেষ্ট ব্যবহার করে আপনি শরীরের যেকোন জায়গার কালো দাগ তুলতে পারবেন।