দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আজব এক ট্রেনের খবর পাওয়া গেছে। যে ট্রেন চলবে ইঞ্জিন ছাড়াই! এই প্রথমবারের মতো ইঞ্জিনবিহীন ট্রেন চালু করতে চলেছে ভারত।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক খবরে বলা হয়েছে, এই প্রথমবারের মতো ইঞ্জিনবিহীন ট্রেন চালু করতে চলেছে ভারত। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই ভারতের রেলপথে দেখা যাবে বিশেষ এই ট্রেনটি!
জানা গেছে, সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করা হয়েছে এই ট্রেনটি। আর এই ট্রেনটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ট্রেন এইটটিন’। এই ট্রেনটি দেখতে অনেকটা মেট্রোরেলের মতোই। অন্য ট্রেনের তুলনায় গতি বেশি এই ট্রেনের। এই ট্রেনটির সর্বোচ্চ গতি হলো ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার।
যেভাবে লোকাল ট্রেন বা মেট্রোর কামরাগুলো ‘সেলফ প্রোপেলড’ প্রযুক্তিতে ইঞ্জিন ছাড়াই চলতে পারে, ঠিক একই প্রযুক্তি ব্যবহার করে চলবে এই নতুন ট্রেনটি। এই ট্রেন তৈরিতে বিদেশি কোনো প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হয়নি। শুধু প্রযুক্তির দিক থেকেই নয়, যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের দিক থেকেও ‘এইটটিন’ অন্য ট্রেনকে টেক্কা দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।
জানানো হয়েছে, ১৬ কামরার ট্রেনগুলো বড় বড় শহরগুলোর মধ্যে যাতায়াত করবে। এরমধ্যে দুটি থাকবে এক্সিকিউটিভ ক্লাস ও ১৪টি নন-এক্সিকিউটিভ। এই কামরাগুলোতে যথাক্রমে ৫৬ ও ৭৮টি করে আসন রয়েছে। এই ট্রেনে জিপিএস, ওয়াইফাই, এলইডি লাইটিং, স্বয়ংক্রিয় দরজা, মালপত্র রাখার জন্য প্রশস্ত স্থান, সম্পূর্ণ রাবার ফ্লোরিংয়ের মতো সুযোগ-সুবিধাও থাকবে এই ট্রেনে!
এই ট্রেনের কামরার ভেতরে বৃদ্ধ এবং অসুস্থদের জন্য হুইলচেয়ার রাখার ব্যবস্থাও থাকবে। ট্রেনটি প্ল্যাটফর্মে এলেই সিঁড়ির বদলে থাকবে স্লাইডিং ফুটস্টেপ। এই ট্রেন এমনভাবে চলবে যে এর ভেতরে যাত্রীরা কোনো ঝাঁকুনিও অনুভব করবেন না।
দেশটির বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, যেহেতু এই ট্রেনের দুই দিকেই চালকের কেবিন থাকছে, তাই প্রান্তিক স্টেশনে পৌঁছার পরও ইঞ্জিন বদলের কোনো প্রয়োজন হবে না। ‘সেলফ প্রোপেলড’ প্রযুক্তিতে চলায় লোকাল ট্রেনের মতোই দ্রুত গতিও বাড়াতে পারবে এই ট্রেন। যে কারণে যাত্রাপথ সম্পূর্ণ করতে অন্যান্য ট্রেনের তুলনায় ট্রেন এইটটিনের অনেক কম সময় লাগবে।
জানা গেছে, চেন্নাইয়ের খ্যাতনামা ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি (আইসিএফ) এই বিশেষ ট্রেনটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান।
ট্রেনটি তৈরি হয়ে যাওয়ার পর দু’তিন মাসের পরীক্ষামূলক চালুর পর আরডিএসও (রিসার্চ ডিজাইন অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অর্গানাইজেশন) ট্রেনটিকে যাত্রী বহনে ছাড়পত্র দেবে বলে আশাবাদী ভারতের রেল মন্ত্রণালয়। সব মিলিয়ে এই ধরনের মোট ৬টি ট্রেন তৈরির জন্য রেল মন্ত্রণালয় হতে আইসিএফকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক খবরে উল্লেখ করা হয়েছে।