দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চীনা শীর্ষস্থানীয় টেলিকম কোম্পানির নির্বাহী কর্মকর্তা মেং ওয়ানঝুকে নিয়ে চীন ও আমেরিকার মধ্যে চরম দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। পাল্টাপাল্টি অবস্থান নিয়েছে দেশদুটি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে কানাডার ভ্যাংকুভারে আটক চীনা শীর্ষস্থানীয় টেলিকম কোম্পানির নির্বাহী কর্মকর্তা মেং ওয়ানঝু ন্যায়বিচার পাবেন বলে যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তারা এই ঘটনার পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে চীনে আটক দুই কানাডিয়ান নাগরিককে ছেড়ে দেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছে।
এদিকে উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়াশিংটনে বৈঠকও করেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার বাণিজ্যযুদ্ধে কানাডা ক্রমবর্ধমানভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। অবশ্য চীন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তার বাণিজ্যিক উত্তেজনা নিরসনে কাজ করে চলেছে।
এদিকে কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড বলেছেন, কর্তৃপক্ষ ‘নৈতিকতার সঙ্গে’ বৈধভাবেই মেং ওয়ানঝুর আটকের বিষয়টি বিবেচনা করছে।
মেং হুয়াইওয়ে’র প্রধান অর্থ কর্মকর্তা। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা লংঘন করে হুয়াওয়ে ইরানের সঙ্গে লেনদেন করেছিল বলে অভিযোগ তুলে যুক্তরাষ্ট্র তাকে গ্রেফতার করে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তরের জন্য কানাডার প্রতি অনুরোধ জানান।
ক্রিস্টিয়া যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন যে, ‘আইনের শাসন বহাল রাখার ব্যাপারে আমরা একমত। আমরা আইন অনুযায়ী মেং এর অধিকার নিশ্চিত করবো। আমরা প্রমাণ করবো যে, কানাডার বর্তমান আইনি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত।’
তিনি জোর দিয়ে পুনরুল্লেখ করেছেন যে, কানাডা সব সময় আইনের শাসন অনুযায়ী চলে। যুক্তরাষ্ট্রের মেংকে হস্তান্তরের বিষয়টি আইন অনুযায়ীই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘কানাডার এসব বিষয়ে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কোনো রকম সুযোগ নেই।’
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পোম্পেও বলেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্রও সবক্ষেত্রেই আইনের শাসনের প্রতি গভীরভাবে শ্রদ্ধাশীল আছে এবং থাকবে।
সূত্র : এএফপি