আমি এই ছবিটিকে ঘৃণা করি: ডোনাল্ড ট্রাম্প

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নদী সাঁতরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে গিয়ে নির্মম পরিণতি বরণ করা এল সালভেদরের এক অভিবাসী এবং তার দুই বছর বয়সী কন্যার মরদেহের ভেসে ওঠা পীড়াদায়ক ছবিটিকে ঘৃণা করেন বলে মন্তব্য করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

গণমাধ্যমে এই ছবি আসার পর বুধবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন নীতি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়।

ব্যাপক সমালোচনার মধ্যেই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এল সালভেদরের অভিবাসন প্রত্যাশী নিহত বাবা ও তার দুই বছরের মেয়েকে নিয়ে ওই মন্তব্য করেছেন। মেক্সিকো সীমান্তের কাছে রিও গ্রান্ডে নদীতে ভেসে ওঠা ওই ছবির ব্যাপারে তিনি বলেন, আমি এটিকে ঘৃণা করি।

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘ওই বাবা….সম্ভবত একজন চমৎকার ব্যক্তি ছিলেন।’ বিরোধী দল ডেমোক্রেটস ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর সীমান্ত নীতির কারণে অভিবাসীদের প্রাণহানি ঘটছে বলেও দায়ী করছে।

এল সালভেদরের নাগরিক অস্কার আলবার্তো মার্টিনেজ (২৫) এবং তার দুই বছর বয়সী মেয়ে অ্যাঞ্জি ভ্যালেরিয়ার মৃত্যু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসনপ্রত্যাশীদের অধিকারের বিষয়টি আবারও আলোচনায় গিয়ে ঠেকে। প্রত্যেক বছর মধ্য আমেরিকার বিভিন্ন দেশের শত শত মানুষ উন্নত জীবন-যাপনের আশায় সীমান্ত পেরিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে গিয়ে প্রাণ হারান। ভ্যালেরিয়া ও তার বাবা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় চেয়েছিল।

দেশটির আগামী নির্বাচনী দৌড়ে মনোনয়ন প্রত্যাশী বার্নি স্যান্ডার্স বাবা-মেয়ের এমন মৃত্যুর ওই ছবিকে ‘ভয়ঙ্কর’ উল্লেখ করে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিষ্ঠুর অভিবাসন নীতিই এই মৃত্যুর জন্য দায়ি বলে মন্তব্য করেছেন।

টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় তিনি আরও বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় প্রার্থনাকে কঠোর থেকে আরও কঠোরতর করছে। পরিবারগুলোকে পৃথক করছে, যা নিষ্ঠুর এবং অমানবিক। শেষ পর্যন্ত এই ধরনের মর্মপীড়াদায়ক ঘটনা ঘটে যাচ্ছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসন নীতি সত্ত্বেও চলতি বছরে মধ্য আমেরিকার দেশগুলো হতে রেকর্ড সংখ্যক অভিবাসন প্রত্যাশী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন। দারিদ্রতা, খরা, ব্যাপক সহিংসতা এবং স্ট্রিট গ্যাঙ গ্রুপগুলোর অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে বহু মানুষ মধ্য আমেরিকা ছাড়ছেন।

দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত হতে চলতি বছর এ পর্যন্ত ৬ লাখ ৬৪ হাজার অভিবাসন প্রত্যাশীকে আটক করেছে মার্কিন সীমান্ত টহল অ্যাজেন্টরা। গত বছরের তুলনায় গ্রেফতারের সংখ্যা ১৪৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়।