দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সত্যিই দুনিয়াটা বড়ই আজব একটি স্থান। কখন কার মনে কি আসে আর কে কি করে তা বোঝা মুশকিল। যে কাচ আমাদের হাতে ধরতেই ভয় লাগে কেটে যাওয়ার ভয়ে সেই কাচই আবার কারও প্রধান খাদ্য! ভিডিওটি না দেখলে বিশ্বাস হবে না।
সত্যিই দুনিয়াটা বড়ই আজব একটি স্থান। কখন কার মনে কি আসে আর কে কি করে তা বোঝা মুশকিল। যে কাচ আমাদের হাতে ধরতেই ভয় লাগে কেটে যাওয়ার ভয়ে সেই কাচই আবার কারও প্রধান খাদ্য! কাচ না খেলে নাকি তার মোটেও ভালো লাগে না! সত্যিই এমন মানুষও এই দুনিয়াতে আছে! তবে ভিডিওটি না দেখলে হয়তো আপনিও এই বিষয়টি বিশ্বাস করতে পারতেন না।।
পৃথিবীতে মানুষের মধ্যে নানা ধরনের নেশা রয়েছে। তবে যতো নেশায় থাকুক না কেনো তাই বলে কাচ চিবিয়ে খাওয়ার নেশা! এমনও কী হতে পারে! তবে হয়েছে। কাচ চিবিয়ে খাওয়া যে একটা নেশা হতে পারে তা জানা গেলো এবার। ভারতের মধ্যপ্রদেশের এক আইনজীবী ৪০ থেকে প্রায় ৪৫ বছর ধরে কাচ চিবিয়ে খাচ্ছেন। আর এটি ওই ব্যক্তির রীতি মতো নেশা।
সম্প্রতি ভারতীয় টিভি চ্যানেল টাইমস নাউ অনলাইনের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, মধ্যপ্রদেশের দিনদোরি জেলার বাসিন্দা দয়ারাম সাহু নামে জনৈক আইনজীবী ৪০ থেকে ৪৫ বছর ধরে কাচ চিবিয়ে খাচ্ছেন! এই অভ্যেসটি অত্যন্ত খারাপ একটি জিনিস তা অবশ্য মানেন তিনি। তার পরেও চার দশকের বেশি সময় যাবত এই কাজটি তিনি করে আসছেন। শুধু তাই নয়, এখন এটি তার একমাত্র নেশা।
তিনি আরও বলেন, ‘৪০ থেকে ৪৫ বছর ধরে কাচ খাওয়ায় আমার নেশা। কাচ খাওয়ার জন্য আমার দাঁতের খুব ক্ষতিও হচ্ছে। তবে কিছুতেই এটি ছাড়তে পারছি না। তবে আগে অনেক বেশি কাচ খেলেও বর্তমানে অনেক কমিয়ে দিয়েছি। নেশার জন্য আমি কাচ খেলেও অন্য কাওকে এটা করতে অবশ্যই বারণ করবো। কারণ হলো কাচ খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকর একটি বিষয়। এই অভ্যাস শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারকও হতে পারে।’
ওই সাক্ষাৎকারের ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, একটি চেয়ারে বসে রয়েছেন আইনজীবী দয়ারাম সাহু। তার কোলে থাকা একটি প্লেটের মধ্যে বোতল ভেঙে রাখা হয়েছে। আর কথা বলতে বলতে সেই বোতলের ভাঙা কাচ কড়মড়িয়ে চিবিয়ে খাচ্ছেন দয়ারাম সাহু। তার এই খাওয়া দেখে বোঝাই যাচ্ছে না যে তিনি আসলে কাচ খাচ্ছেন। দেখে মনে হচ্ছে তিনি মচমচে ভাজা কোনো কিছু খাচ্ছেন!
দেখুন দয়ারাম সাহুর কাচ খাওয়ার ভিডিওটি
https://www.youtube.com/watch?v=yqBWoAkxmV0