দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতের উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় বহুল আলোচিত ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদের স্থানে রাম মন্দির নির্মাণ শুরু হচ্ছে এই জুন মাসের ১০ তারিখে।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, মন্দির নির্মাণে নরেন্দ্র মোদি ঘোষিত ট্রাস্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, প্রথমে এখানে শিবের আরাধনা হবে। তারপরই শুরু হবে মন্দির নির্মাণের কাজ। ১০ জুন সকাল ৮টা হতে মহাদেব আরাধনা শুরু হবে শশাঙ্ক শেখর মন্দিরে। এই সময় টানা ২ ঘণ্টা আরাধনা চলবে। তারপর এদিনই মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু করবে এল অ্যান্ড টি সংস্থা। সে জন্য ইতিমধ্যেই সব আয়োজন সম্পন্ন করা হয়েছে।
গত ২৬ মে মন্দিরের নির্মাণস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের চেয়ারম্যান মোহন্ত নৃত্যগোপাল দাস। সেখানে পূজার পর রাম মন্দিরের কাজ শুরুর ঘোষণা দেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৯ নভেম্বর দেশটির শীর্ষ আদালতের রায় ঘোষণার পর রাম মন্দির নির্মাণে ট্রাস্ট গঠনের জন্য সময় দেওয়া হয়েছিল ৩ মাস।
ওই রায়ে সুপ্রিম কোর্ট বলেছিলেন যে, বিতর্কিত রাম মন্দির-বাবরি মসজিদের স্থানে রাম মন্দির নির্মিত হবে; বিকল্প হিসেবে বাবরি মসজিদ নির্মাণের জন্য মুসলিম ওয়াকফ বোর্ডকে ৫ একর জমি অন্যত্র দেওয়া হবে।
দিল্লি নির্বাচনের তিন দিন পূর্বে লোকসভায় সেই ট্রাস্ট গঠনের কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সরকারপক্ষের এমপিরা সেদিন ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনি তুলেছিলেন।
ওই মন্দিরটি হবে মোট ১২৫ ফুটের। যদিও তা বাড়িয়ে ১৬০ ফুট করার প্রস্তাব এসেছে নানা মহল হতে। মন্দিরের প্রথম তলা হবে ১৮ ফুটের। সেখানেই থাকবে রাম লালার মূর্তি। দ্বিতীয় তলা হবে ১৫ ফুট ৯ ইঞ্চির। রামের দরবার হিসেবে গড়ে তোলা হবে এই দ্বিতীয় তলাটি।
উল্লেখ্য যে, শত শত বছর পূর্বে ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদটি কিছু হিন্দু মৌলবাদিরা সেখানে তাদের রাম মন্দির ছিলো বলে দাবি করে এবং ১৯৯২ সালে মসজিদটি ভেঙ্গে দেয়। এর পর হয় মামলা। সেই মামলায় শেষ পর্যন্ত হিন্দুদের পক্ষেই রায় দেওয়া হয়। যে কারণে শত শত বছর পূর্বে ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদটি শেষ পর্যন্ত আর থাকছে না।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।