দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোরবানী ঈদ এলে বড় গরু নিয়ে মাতামাতি শুরু হয়। কিন্তু এবার পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট গরু বাংলাদেশের ‘রানি’কে নিয়েই বেশি মাতামাতি। কারণ আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলোতেও প্রকাশ পেয়েছে এই ছোট্ট গরুটির কাহিনী!
শিকড় এগ্রো লিমিটেড, রাজধানীর সন্নিকটে সাভারের আশুলিয়া। সবচেয়ে বড় বা ওজনওয়ালার জন্য নয় বরং এই সুনাম ছড়িয়েছে এবার সবচেয়ে ছোট হওয়ায়। পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট গরু হিসেবে গিনেস বুকে নাম উঠতে যাচ্ছে ‘রাণী’র।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমেও শিরোনাম হয়েছে বাংলাদেশের সবচেয়ে এই ছোট গরু ‘রানি’। বুধবার বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সংবাদমাধ্যমে ‘রানি’র প্রতিবেদন উঠে এসেছে।
গরুটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘রাণী’। গরুটির উচ্চতা মাত্র ২০ ইঞ্চি। লম্বায় ২৭ ইঞ্চি। এই খর্বাকৃতির গরুটির ওজন হলো মাত্র ২৬ কেজি। রানীর বয়স প্রায় দুই বছর। দেখতে একটি বন বিড়ালের মতোই। কোরবানী দেওয়ার উপযুক্ত গরু এটি। গরুটির দাম উঠেছে সাড়ে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত!
সাভারের আশুলিয়ার চারিগ্রামের এই ‘রাণী’ই হলো পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট গরু। বক্সার ভূট্টি জাতের এই খর্বাকৃতির গরুটিকে বিশ্ব রেকর্ডে জায়গা করে দিতে ইতিমধ্যে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছে গরুটির মালিক সাভারের ‘শিকড় এগ্রো লিমিটেড’ । পরীক্ষা নিরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে বিশ্বে সবচেয়ে ছোট গরুর রেকর্ডে ভারতকে পেছনে ফেলতে চলেছে বাংলাদেশ।
ইতিপূর্বে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গরুর রেকর্ড ছিল ভারতের কেরেলা রাজ্যের ৪ বছর বয়সী লাল রঙের গরু মানিকিয়ামের। সেটাকে এবার পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশের ‘রানি’। ভারতের মানিকিয়ামের চেয়েও রানি ১০ সেন্টিমিটার ছোট।
গতকাল (বুধবার) বার্তা সংস্থা এএফপি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে যে, দেশব্যাপী লকডাউন থাকা সত্ত্বেও মানুষজন দূর-দূরান্ত হতে রিকশায় করে আশুলিয়ার শিকড় এগ্রো লিমিটেডে ‘রানি’কে এক নজর দেখতে ভীড় জমাচ্ছেন।
শিকড় এগ্রো লিমিটেডের ব্যবস্থাপক এম এ হাসান হাওলাদার সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘করোনা ভাইরাসের কারণে ঘোষিত লকডাউন সত্ত্বেও মানুষ দূর-দূরান্ত হতে আসছে এই গরুটি দেখতে। সবাই রানির সঙ্গে সেলফি তুলতে চাইছে।’
তিনি জানিয়েছেন, ৩ মাসের মধ্যে সবচেয়ে ছোট গরু হিসেবে রেকর্ডে ওঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে তাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ।
হাসান হাওলাদার আরও বলেছেন, ‘গত তিন দিনে অন্তত ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষ এসেছেন রানিকে দেখার জন্য। সত্যি কথা বলতে আমরা এখন ক্লান্ত হয়ে পড়েছি।’
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।