দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মহাবীর নেপোলিয়নের ২০০তম মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে নিলামকারী প্রতিষ্ঠান সথবি’স (প্যারিস শাখা) তার ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিস নিয়ে একটি নিলামের আয়োজন করা হয়েছে।
এই নিলাম ‘নেপোলিয়ন বোনাপোর্টের আরেক বাইকর্ন’ (দ্বিকোণ বিশিষ্ট্য) বিশেষ টুপিসহ ১৫ জুলাই শুরু হওয়া এই নিলাম চলবে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
নিলামের মূল আকর্ষণই হলো এই ‘নেপোলিয়নের বাইকর্ন টুপি।’ ধারণা করা হচ্ছে যে, ১৮০৭ সালে ফ্রিডল্যান্ডের লড়াইয়ে (ব্যাটল অব ফ্রিডল্যান্ড) রুশ সেনাবাহিনীকে পরাজিত করার সময় এই টুপিটি পরেছিলেন তিনি। জয়ের পর তিলসিত সন্ধি স্বাক্ষরের সময়ও এই টুপি পরে ছিলেন তিনি। প্রকৃতপক্ষে নেপোলিয়ন বুদ্ধিমান সামরিক কৌশলবিদ ছিলেন নাকি কোনো যুদ্ধংদেহী নির্মম একনায়ক ছিলেন তা নিয়ে এখনও দেশে দেশে বিতর্ক রয়েই গেছে। তবে সথবি’স বলছে, তিনি ছিলেন আসলে একজন সম্রাট, যার কাহিনী তার মৃত্যুর ২০০ বছর পরও বিশ্ববাসীকে আকর্ষণ করছে।
দ্য গার্ডিয়ানের বরাতে আয়োজকরা জানিয়েছেন যে, ‘নিলামে টুপিটি ৪ লাখ থেকে ৬ লাখ ইউরোতে (৬.০৩ কোটি টাকা) বিক্রি হতে পারে।’
ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৮১৪ সালে তার কাছ থেকে এই টুপিটি কিনে নিয়েছিলেন তৎকালীন ধনশালী রাজনীতিক স্যার মাইক্যাল স’-স্টুয়ার্ট। নেপোলিয়নকে নিয়ে কিছুটা সম্মোহিত ছিলেন বলে তার পরিচিতিও রয়েছে। টুপিটি নিজের জন্মস্থান স্কটল্যান্ডে নিয়ে যান স্টুয়ার্ট। তারপর থেকে বহু প্রজন্ম ধরে টুপিটি তার পরিবারের তত্ত্বাবধানেই রয়েছে। এ পর্যন্ত নেপোলিয়নের পরিহিত ১৯টি বাইকর্ন টুপি শনাক্ত হয়েছে।
টুপিটি ছাড়া নিলামে আরও থাকবে নেপোলিয়নের লাশের মুখের ছাপ দিয়ে তৈরি মুখোশও (ডেথ মাস্ক)। সেটিও ৪ থেকে ৬ লাখ ইউরোতে বিক্রির প্রত্যাশাও করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে নিলামটিতে থাকবে ভাস্কর্য, ফার্নিচার, রুপার তৈরি জিনিসপত্র, চীনা মাটির তৈরি জিনিসপত্র, গহনা, ছবি ইত্যাদি।
উল্লেখ্য, নেপোলিয়ন ৫১ বছর বয়সে মারা যান। বৃটিশ দ্বীপ সেইন্ট হেলেনায় নির্বাসনে থাকাকালে। মরার আগে তার বলা শেষ শব্দগুলো হলো: ফ্রান্স, এল’আর্মি, জোসেফিন, তেত দি’আর্মে, (ফ্রান্স, সেনাবাহিনী, জোসেফিন, সেনাবাহিনীর প্রধান)।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।