দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সন্তানকে মানুষের মতো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে ছোট থেকেই। ছোটকালের শিক্ষায় শিশুদের জন্য বেশি কাজে আসে। আজ জেনে নিন সন্তানদের যে আদব কায়দা আপনাকে শেখাতে হবে।
বর্তমানে প্রায় বাড়িতেই একটি করে সন্তান দেখা যায়। মা-বাবা দুজনেই হয়তো কর্মরত আছেন- এমন পরিবারের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। যে কারণে সন্তানদের আদর চারগুণ বেড়ে যায়। সে যখন যা চাইবে, তখন সবই হাতের কাছে চলে আসে। শাসন কাকে বলে, তা তারা তেমন একটা বুঝতে পারে না। আবার অনেক সন্তান দাদা-দাদির কাছে বড় হয়। যে কারণে তাদের বখে যেতে খুব বেশি সময় লাগে না।
খুব ছোট থাকতে সব ঠিকঠাক মনে হলেও, সমস্যাটা বোঝা যায় একটু বড় হতেই। বাচ্চারা যখন বিগড়ে যেতে শুরু করে, তখন বাড়ির লোক বোঝেন কী ভুলটাই না তারা করে বসেছেন। আপনিও যদি এমনভাবে চলেন তাহলে তা আজই বন্ধ করুন। বাচ্চাকে সঠিকভাবে মানুষ করাটা আপনার জন্য বেশি দরকার। সন্তানকে শেখান সঠিন আচার-আচরণ। আজকাল সব মা-বাবাই এই কয়েকটি ভদ্রতা শেখাতে একেবারেই ভুলে যান। যার খেসারত দিতে হয় তাদেরই।
# সন্তানকে অন্যের কথাও শুনতে শেখান। অনেক বাচ্চাই প্রচুর কথা বলে থাকে, অন্য কারও কথা শোনে না। সব সময় আলাপচারিতা যে দু’পক্ষের মধ্যে হয়, সেটিও শিক্ষা দিন।
# সন্তানকে অন্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে শেখান। একা একা বড় হওয়ার কারণে অনেক বেশি লজ্জা লজ্জা ভাব দেখা যায়। এটা দূর করানো অভিভাবকের প্রধান কাজ। নইলে, সব ক্ষেত্রেই পিছিয়ে পড়বে। কারও সঙ্গে দেখা হলে, কীভাবে কথা শুরু করতে হবে সেই শিক্ষা দিন। বাকিটা সে নিজে নিজেই শিখে যাবে।
# পারিবারিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে মাসে অন্তত দু’বার রেস্তোরাঁ, বন্ধু কিংবা পরিজনদের সঙ্গে গেট টুগেদারের আয়োজন করা যেতে পারে। এমন অনুষ্ঠানগুলোতে তাদের কেমন আচরণ করা উচিত সেই শিক্ষাও দিন।
# আপনার সন্তানকে ধন্যবাদ জ্ঞাপনের শিক্ষাদিন। আবার কেও কিছু উপহার দিলে, বা কোনওভাবে সাহায্য করলে ধন্যবাদ বলতে শেখান। এই ভদ্রতা ছোট থেকে শেখা খুব দরকারি একটি কাজ।
# বর্তমান আধুনিক যুগে সকলেই স্মার্টফোনের ওপর ভরসা করে। সেটি কারও খবর নিতেই হোক বা জরুরি কাজেই হোক। সন্তানদের হাতেও ছোট হতেই মোবাইল রয়েছে। এই ফোনে কীভাবে কথা বলতে হবে সেটিও সন্তানকে শেখান। কেও ফোন করলে ফোন ধরে কেমন করে উত্তর দিতে হয়, বা নিজে কোথাও ফোন করলে কীভাবে কোন টোনে কথা বলতে হবে, সেই শিক্ষাও দিন।
এভাবেই সন্তানকে নানাভাবে শিক্ষা দিন খুব ছোট থেকেই। কারণ একটু বড় হলে তখন কিন্তু সে অন্য জগতে চলে যাবে। তখন আপনার কোনো শিক্ষাই সে গ্রহণ করবে না। তাই ছোট থেকেই সন্তানকে এই শিক্ষাগুলো দিন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।