দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আগে আমরা দেখেছি কুশন চেয়ারের এক কোণে পড়ে থাকে। কিন্তু বর্তমান সময়ে কুশন ঘরের কোণে পড়ে না থেকে ঘরের সৌন্দর্যে ব্যবহার করা হয়।
বিছানায় কিংবা ঘরের কোণে সাজিয়ে রাখতে পারেন বাহারি সব নানা কুশন। শুধু কুশন দিয়েই এখন ঘরের চেহারা আপনি চাইলে পাল্টে ফেলতে পারেন খুব সহজেই।
কুশন সাজিয়ে রাখার পরিবেশনাতে বর্তমানে যোগ হচ্ছে নিত্যনতুন ডিজাইন। বড় সোফা হোক কিংবা নিচু, ঘরে ডিভান-শতরঞ্জি, যা-ই রাখা হোক না কেনো, তাতে কুশন থাকবেই।
বসার ঘরে কুশন
আপনার মাঝারি আকারের বসার ঘরে শুধু সোফা ও চেয়ার রাখার সুযোগ থাকে। এমন ঘরে শুধুমাত্র সোফাতেই কুশন রাখতে পারবেন। সোফার আকার-নকশা অনুযায়ী কুশন এবং এর কাভার বেছে নিন। বেত, কাঠ বা বাঁশের তৈরি সোফা থাকলে দেশজ নকশার কুশন কভার বেশ ভালো লাগে। গ্রামীণ চেক, হ্যান্ড এমব্রয়ডারি, কাঁথা স্টিচ কিংবা অ্যাপ্লিকও বেছে নিতে পারেন। কুশিকাটার কাজ করা থাকলেও বেশ ভালো দেখাবে। পর্দা এবং অন্যান্য আসবাবের দিকেও খেয়াল রাখুন কুশন কাভার বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে।
শিশুর ঘরে কুশন
আপনার শিশুর ঘরকে সাজাতে কুশন ব্যবহার করতে পারেন। কুশন কভার রাখলে ওর মানসিকতার দিকে লক্ষ রেখেই সেটি বেছে নিন। প্রজাপতি, টেডি বিয়ার, সিনড্রেলা কিংবা ফুটবলের নকশায় তৈরি কুশন কভার হতে পারে ওদের পছন্দসই কুশন। আবার বিছানাতেও রাখতে পারেন, আবার শিশুর ঘরে ডিভান থাকলে সেখানেও এমন কুশন রাখা যাবে। এই ঘরের জন্য একটু গাঢ় রঙের কাপড় বেছে নেওয়াই ভালো হবে, নইলে খুব সহজেই নোংরা হয়ে যেতে পারে। তাই সেদিকে একটু খেয়াল রাখতে হবে। তবে যেসব শিশু নির্ধারিত কোনো রং পছন্দ করে সেই রঙের কাপড় দিয়ে বানাতে পারেন। যেমন অনেক শিশু পিংক কালার পছন্দ করে। তাদের জন্য পিংক কালারের কাপড় কিনে তা দিয়ে কুশন বানাতে পারেন।
কুশন রাখুন শোয়ার ঘরে
আপনি চাইলেই শোয়ার ঘরে বালিশের সামনে কুশন রাখতে পারেন, আবার বালিশ ছাড়াই শুধু কুশন ব্যবহার করতে পারেন। অনেক দেশেই শোয়ার ঘরে বালিশের পরিবর্তে শুধু কুশন রাখার প্রচলন বিদ্যমান। বালিশ না রাখলে অবশ্যই ভালো মানের কুশন এবং কাভার ব্যবহার করা প্রয়োজন।
উন্নত মানের দেশীয় সুতি কাপড় বা চায়নিজ কিংবা জাপানিজ কাপড়ের কুশন কিনতে পারেন। বালিশ থাকলে এর কভারের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে কুশনের আবরণও বেছে নিন। একটু হালকা রঙের কাপড়ই এই ঘরটার জন্য বেশি ভালো হবে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।