দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মূলত একটি অপরিচিত ফল হলো বহেড়া। এটি এক ধরনের ঔষধি ফল। বহেড়া ফল উপমহাদেশের প্রাচীনতম আয়ুর্বেদিক ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে। হজমশক্তি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে এই বহেড়া!
জানা গেছে, বহেড়া বিশেষভাবে পরিশোধিত হয়ে এর ফল, বীজ এবং বাকল মানুষের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে এবং চিকিৎসায় ব্যবহার হয়ে থাকে।
বহেড়া ফলের ঔষধিগুণ জেনে নিন:
আমাশয় থেকে দূরে থাকতেও বহেড়ার জুড়ি নেই। যারা আমাশয়ে ভুগছেন তারা প্রতিদিন সকালে বহেড়ার গুঁড়া মেশানো পানি খেয়ে নিন। এতেওউপকার পাবেন।
বহেড়া হজমশক্তি বৃদ্ধিকারক হিসেবে পরিচিত। এই ফলের খোসা ভালো করে গুঁড়া করে নিতে হবে। পানির সঙ্গে এই গুঁড়া দিনে দু’বার খেয়ে নিতে হবে। ক্ষুধামন্দা তাড়াতেও একই প্রণালী অনুসরণ করা যেতে পারে।
হাঁপানি থেকে মুক্তি পেতেও বহেড়া উপকারী। বহেড়া বীজের শাঁস ২ ঘণ্টা অন্তর চিবিয়ে খেলে হাঁপানি হতে মুক্তি পাওয়া যাবে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এই পদ্ধতি মেনে চলতে হবে।
কৃমি নাশ করতেও বহেড়ার জুড়ি নেই। পেটে কৃমি হলে হাতের কাছে সমাধান হিসেবে রয়েছে বহেড়া।
বহেড়া চুল পাকা প্রতিরোধেও বহেড়ার ভূমিকা অগ্রগণ্য। ১০ গ্রাম পরিমাণ বহেড়ার ছাল পানিতে মিশিয়ে থেঁতো করে নিন। এই থেঁতলানো বস্তু এক কাপ পানিতে ছেঁকে নিতে হবে। তারপর পানিটুকু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে।
আবার ডায়রিয়া হলেও বহেড়ার খোসা পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। অল্প মাত্রায় খেলে এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেবে না। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনেই খাওয়া উচিত।
অনিদ্রা রোগে ভোগেন অনেকেই। রাতের পর রাত নির্ঘুম কেটে যায় এমন মানুষের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। এখন থেকে চমৎকার ঘুমের জন্য বহেড়া খেতে পারেন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।