দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মা-বাবা সন্তানকে ছোট্ট থেকেই যত্নে রাখেন । খাওয়া-দাওয়া, ঘুম, খেলা- সবকিছুতেই খেয়াল রাখতে হয় পরিবারকে। তবে শিশুর যত্নের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় মনে রাখতে হবে।
শিশুর শরীরে যা কিছু প্রয়োগ করবেন, সেটির ঘ্রাণ কিংবা ওই সময় শিশুর পছন্দের অডিও ক্লিপে আকৃষ্টও করা যায় ওকে। গোসলখানাও যেনো হয় ওর পছন্দমতো করে সাজানো। বা শিশু বসে রয়েছে, মা-বাবা মজার কথা বলতে বলতে ম্যাসাজ ক্রিম মালিশ করিয়ে তারপর গরম পানিতে ভেজানো তোয়ালে দিয়ে মুছিয়ে দিতে হবে। মাসে একবার এই মজার খেলাটিই হবে শিশুর ডিপ ক্লিনিং। গোসলের পর তেল কিংবা লোশন লাগাতে হবে ত্বক আর্দ্র রাখার জন্য। তবে খেয়াল রাখতে হবে যে, বড়দের প্রসাধনসামগ্রী শিশুর জন্য কিন্তু ক্ষতিকর।
আপনার সন্তানের ত্বকের যেভাবে যত্ন নিবেন:
# নিয়মিত মুখ ধোয়ার জন্য দুধের সঙ্গে বেসন কিংবা ময়দা মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারে ফেসওয়াশের মতো। তাতে ত্বক আরও কোমল থাকবে।
# শুষ্কতা এড়াতে হলে নিতে হবে নারকেল তেল ৩ কাপ, কাঁচা হলুদবাটা ৩ টেবিল চামচ, মেহেদি বাটা ৩ টেবিল চামচ ও দূর্বাঘাস বাটা ৩ টেবিল চামচ। মিশ্রণটি ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে কাচের বোতলে রেখে দিন। প্রতি রাতে বা গোসলের পর ভেজা ত্বকে পুরো শরীরে মালিশ করে দিন।
# তুলসীপাতা বাটা, পুদিনাপাতা বাটা, নিমপাতা বাটা ও কাঁচা হলুদ বাটা নিন সমান পরিমাণ। মিশ্রণটি ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে লাগিয়ে দিন ত্বকে সপ্তাহে বা ১৫ দিনে একবার করে। শুকিয়ে গেলে লেবুর রস দিয়ে ছোট তোয়ালে কিংবা কাপড়ের সাহায্যে উঠিয়ে ফেলুন। তারপর গোসল করিয়ে দিন সাবান ছাড়াই।
# গরম দুধ এক কাপ, কাঁচা হলুদবাটা দুই চা-চামচ ও প্রয়োজনমতো ময়দা মিশিয়ে পুরো শরীরে লাগিয়ে রাখুন অন্তত ১০ মিনিট, তারপর গোসল করিয়ে দিন সাবান ছাড়া, সপ্তাহে অন্তত এক দিন। এটি মেয়ে শিশুদের জন্য আরও ভালো।
# শিশুদের ফুসকুড়ি, দানা, ব্ল্যাকহেডস হলে ১ চা–চামচ বেসন, আধা চা–চামচ নিমপাতা বাটা এবং আধা চা–চামচ হলুদবাটা মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। কুসুম গরম পানিতে তুলা ভিজিয়ে মুখ মুছে নিয়ে মালিশ করে দিন পুরো মুখে, এটি করতে পারেন সপ্তাহে এক দিন। ৫ মিনিট পর আবার কুসুম গরম পানিতে তুলা ভিজিয়ে মুখ মুছে ফেলুন। তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। তথ্যসূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা।
# শিশুর ত্বক খুব শুষ্ক ও খসখসে হয়ে গেলে শিশুর ত্বকে চুলকানি হতে পারে। খুব শুষ্ক ত্বকের জন্য নিন নারকেল তেল ও জলপাই তেল নিন ২ কাপ। খাঁটি তিলের তেল নিন ১ কাপ। এগুলো একসঙ্গে ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে বোতলে রেখে দিন। গোসলের পর ভেজা ত্বকে ও রাতে ঘুমের পূর্বে মালিশ করে দিন এই তেল।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।