দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, এক সময় পৃথিবীতে প্রাণের কোনো অস্তিত্বই থাকবে না। বায়ুমণ্ডলে থাকবেনা কোনো অক্সিজেন। কোনো প্রাণী নিতে পারবেনা শ্বাস-প্রশ্বাস। পৃথিবীতে অণুজীব ছাড়া কিছুই থাকবে না।
তাদের আশঙ্কা, ছিঁড়ে একেবারে ফালাফালা হয়ে যাবে পৃথিবীকে চার পাশ থেকে মুড়ে রাখা ওজোন গ্যাসের চাদর! সব ধরনের সৌর বিকিরণ এবং মহাজাগতিক রশ্মির হামলা হতে যা মূলত আমাদের বাঁচিয়ে রাখে।
এই নীলাভ গ্রহের বায়ুমণ্ডলকে সৌর বিকিরণ ও মহাজাগতিক রশ্মি চুরচুর করে ভেঙে দেবে। কার্বন ডাই-অক্সাইডের মতো যে গ্রিনহাউস গ্যাসের বাতাসে নির্গমনের মাত্রা বৃদ্ধিতে আমরা বর্তমানে যারপরনাই উদ্বিগ্ন, সেই গ্যাসই তখন থাকবে না বায়ুমণ্ডলে। যে কারণে অক্সিজেন-নির্ভর প্রাণের পক্ষে টিকে থাকা যেমন সম্ভব হয়ে পড়বে, ঠিক তেমনি অসম্ভব হয়ে পড়বে উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষণ। তাদের রান্নাবান্নার যাবতীয় প্রক্রিয়া পুরোপুরিভাবে বন্ধ হয়ে যাবে।
২৪০ কোটি বছরেরও পূর্বে পরিস্থিতি যে রকম ছিল পৃথিবী আবারও ফিরে যাবে সেই অবস্থাতে। পৃথিবী ভরে যাবে তখন অত্যন্ত বিষাক্ত মিথেন গ্যাসের কারণে।
বিভিন্ন তাত্ত্বিক মডেল খতিয়ে দেখে করা সাম্প্রতিক এক গবেষণা এমন অশনিসঙ্কেত দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয় আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘নেচার জিওসায়েন্স’-এ।
গবেষকরা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের ঔজ্জ্বল্যের বাড়া-কমার প্রবণতা ও তার প্রেক্ষিতে বায়ুমণ্ডলে কীভাবে কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাসের পরিমাণ কমে কিংবাবাড়ে, সে সবের যাবতীয় তথ্যও বিশ্লেষণ করেন।
দুই মূল গবেষক আমেরিকার জর্জিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির ভূবিজ্ঞানী অধ্যাপক ক্রিস রেনহার্ড এবং জাপানের তোহো বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞানী অধ্যাপক কাজুমি ওজাকি জাবি বলেছেন, ‘‘এই পরিস্থিতি আসবে সূর্যের তাপে পৃথিবী জ্বলেপুড়ে খাক হয়ে যাওয়ার পূর্বেই। সেই সময় পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ভরে যাবে কেবলমাত্র বিষাক্ত মিথেন গ্যাসে। যে গ্যাসের উপর নির্ভর করে বাঁচতে পারে বিশেষ কয়েকটি অণুজীব।
আর তখন মানুষ, অক্সিজেনের উপর নির্ভরশীল কোনও প্রাণী কিংবা সালোকসংশ্লেষণনির্ভর কোনও উদ্ভিদও আর টিকে থাকতে পারবে না এই পৃথিবীতে। ২৪০ কোটি বছরেরও পূর্বে এমনই অবস্থায় ছিল পৃথিবীর। এই গ্রহ আবার সেই পরিবেশেই ফিরে যাবে। সেটি হতে পারে ১০০ থেকে ২০০ কোটি বছরের মধ্যে।’’
গবেষকরা আরও জানিয়েছেন, গবেষণার এই ফলাফল বুঝিয়ে দিচ্ছে যে, মিথেন কিংবা অন্য কোনও গ্যাস নির্ভর প্রাণের অস্তিত্ব থাকতে পারে ভিন্নগ্রহের ভিন্ন মুলুকেও। এবার সেই ধরনের প্রাণের খোঁজ-তল্লাশের সময়ও নিকটেই। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।