দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা অনেক সময় গরমের মধ্যে ঘেমে এসে তাৎক্ষণাত ঠাণ্ডা পানি পান করি। কিন্তু আমরা জানিও না যে সেটি কতোখানি ক্ষতিকর হতে পারে। আজ জেনে নিন বিষয়টি।
সাধারণত মানব শরীরের তাপমাত্রার সামঞ্জস্যতা বজায় রাখা সম্ভব না হলে হজমে সমস্যা কিংবা হজমজনিত সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ‘যেমন আমরা রোজার সময় ইফতারি বা খাওয়ার পর ঠাণ্ডা পানি পান করি, এটি মারাত্মক ক্ষতির কারণ। এতে শ্বাসনালীতে ম্লেষ্মার অতিরিক্ত আস্তরণ সৃষ্টি হতে পারে। যে কারণে শ্বাসতন্ত্র কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলে।’
গরমের মধ্যে শরীরের তাপমাত্রার বিপরীত প্রতিক্রিয়া হলো ক্যান্সার রোগের অন্যতম কারণ। দেখা যায় রোজার সময় ইফতারের পর অনেকেই ফ্রিজ থেকে সরাসরি ঠাণ্ডা পানি কিংবা ঠাণ্ডা পানীয় পান করেন। গরমে এভাবে পানি পান করা মোটেও উচিত নয়। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ‘অতিরিক্ত ঠাণ্ডা পানি পানের কারণে দাঁতের ভেগাস নার্ভের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে দুর্বল করে দিতে পারে।’
এই ভেগাস স্নায়ু হলো মানবদেহের স্নায়ুতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। অতিরিক্ত ঠাণ্ডা পানি পানের কারণে ভেগাস স্নায়ু উদ্দীপপ্ত হয়। এতে করে হৃদগতি হঠাৎ করেই কমে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও থাকে।
শরীরচর্চা, ওয়ার্কআউট বা কোথাও থেকে অনেকক্ষণ হেঁটে আসার পরও কখনই ঠাণ্ডা পানি খাওয়া উচিত নয়। ওয়ার্কআউটের পর শরীরে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়েও অনেকটাই তাৎক্ষণিক বেড়ে যায়। এই সময় সঙ্গে সঙ্গে ঠাণ্ডা পানি পানের কারণে শরীরের তাপমাত্রার সঙ্গে বাইরের পরিবেশের তাপমাত্রার সামঞ্জস্য বজায় রাখা মোটেও সম্ভব হয় না, যে কারণে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এই বিষয়গুলো হতে আরও সাবধান হতে হবে। তথ্যসূত্র: দৈনিক যুগান্তর।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।