দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জাতিসংঘের বিজ্ঞানীদের এক গবেষণা বলছে, মানবসভ্যতার কাছে ২৫০০ সালের মধ্যে বাসযোগ্য এই পৃথিবী হয়ে পড়বে একটি ভিন্গ্রহ!
খুব দ্রুত হারে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পৃথিবী বাসযোগ্য থাকবে না। জাতিসংঘের বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণা প্রতিবেদনে এমনটি দাবি করেছেন।
Nationally determined contributions under the Paris Agreement শিরোনামের গবেষণাটি গতমাসে প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক জলবায়ু বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘গ্লোবাল চেঞ্জ বায়োলজি’-তে।
তাতে বলা হয়, সম্প্রতি বিভিন্ন রাষ্ট্র গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের পরিমাণ কমানোর যে সব প্রতিশ্রুতি তারা দিয়েছে, সেগুলি পুরোপুরি রক্ষিত হলেও ৭৯ বছরের মধ্যে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা প্রাক শিল্পযুগের চেয়ে অন্তত ২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।
যে কারণে এমন ঘনঘন এবং ভয়ঙ্কর দাবানল হবে পুরো বিশ্বজুড়েই, যা অভূতপূর্ব। ঠিক একই ভাবে ঝড়, ঘূর্ণিঝড়, খরা, বন্যা, তাপপ্রবাহ এবং শৈত্যপ্রবাহের তীব্রতা ও সংখ্যা এতোটাই অকল্পনীয়ভাবে বেড়ে যাবে যে, ২১০০ সালে পৃথিবী বাসযোগ্যই থাকবে না। মানবসভ্যতার কাছে পৃথিবী হয়ে পড়বে আরও একটি ভিন্গ্রহ। শুধু তাই নয়, স্থল এবং জলের যাবতীয় বাস্তুতন্ত্রেরও আমূল পরিবর্তন ঘটতে পারে।
প্যারিস জলবায়ু চুক্তির আগেই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিলো, ২১০০ সালের মধ্যে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা-বৃদ্ধিকে প্রাক শিল্পযুগের চেয়ে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে বেঁধে রাখতে হবে। তা না হলে শেষের সে দিন ঘনিয়ে আসবে পার্থিব সভ্যতার।
গবেষকরা দেখেছেন যে, ২১০০ সালের পরেও পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির লাগাম টেনে ধরা মোটেও সম্ভব হবে না। যে কারণে বিশ্বজুড়ে প্রচুর কৃষিজমি পুরোপুরি অ-ফসলি, অনুর্বরও হয়ে পড়বে। সেগুলি ধীরে ধীরে সরে যাবে পৃথিবীর একেবারে দুই মেরুর দিকে।
গবেষকরা মনে করছেন, যেহেতু দুই মেরুর বরফও ততোদিনে গলে গিয়ে সমুদ্রের জলস্তর বাড়ানোর পাশাপাশি বরফের চাঙরের নিচে থাকা স্থলভাগকেও একেবারে উপরে তুলে আনবে। আমাজন নদীর অববাহিকাও ৪০০ বছরের মধ্যে একেবারেই শুকিয়ে যাবে বলে মনে করছেন গবেষকরা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।