দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হংকংয়ে ট্রাভেল এজেন্সির ঘুমপাড়ানি বাসের খবর নগরবাসীদের আকৃষ্ট করছে। অনেকেই ছুটে যাচ্ছেন ওই ঘুমপাড়ানি বাসে, যাকে বলা হচ্ছে নিদ্রাভ্রমণ!
হংকংয়ের চরম আবাসন সংকটের মধ্যেই দারুণ এক সুখবর নিয়ে এলো দেশটির উলু ট্রাভেল এজেন্সি নামে একটি সংস্থা।
কাজের চাপে যাদের রাতে ভালো ঘুম হয় না বা ঘরের অভাবে ঘুমানোর সুযোগই যারা পান না বা যাদের জেগেই কাটে সারারাত, যাদের শত চেষ্টায়ও চোখে ঘুম আসে না- হংকংয়ের এসব দুর্ভাগা মানুষের জন্য ‘ঘুমপাড়ানি বাসের’ ব্যবস্থা চালু করেছে দেশটির এই জনপ্রিয় বাসসেবা প্রতিষ্ঠান।
এই বিশেষ বাস যাত্রীপরিষেবা শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। প্রথম দিনেই ব্যাপক সাড়া পেয়েছে ওই প্রতিষ্ঠানটি। হংকংয়ের ইতিহাসে প্রথম এই অভিনব বাসভ্রমণের মেয়াদ হলো ৫ ঘণ্টা। হংকংয়ের তুয়েন মুন মহাসড়ক ধরে নর্থ লানতাউ দ্বীপের আশপাশে যাত্রীদের নিয়ে টানা ৫ ঘণ্টায় ৭৬ কিলোমিটার এলাকায় ঘুরবে এই ঘুমপাড়ানি বাস!
ভ্রমণের সময় যাত্রীরা বাসটিতে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হতে পারবেন। যাত্রীদের ঘুমের দেশে নিয়ে যেতে পুরো বাসেই ঘুম ঘুম পরিবেশ সৃষ্টি করে রেখেছেন কর্তৃপক্ষ।
শুধু তাই নয়, এই বাসে ভ্রমণের যাত্রা শুরুর আগে স্থানীয় একটি রেস্তোরাঁ থেকে ভরপেট খেয়ে নিতে পারবেন যাত্রীরা। দ্বিতল বাসটির ওপরের তলায় দুই ধরনের কেবিন রয়েছে। একটি হলো শব্দপ্রতিরোধী ‘জিরো ডেসিবল স্লিপিং কেবিন’। অপরটি হলো ‘ভিআইপি প্যানারোমা কেবিন’। উপরতলার কেবিনগুলোতে কথা বলা দূরের থাক ‘পিনপতন শব্দ’ও নিষিদ্ধ!
অবশ্য নিচেরতলার ‘ফটোটেকিং কেবিন’ এ ফিসফাস স্বরে কথা বলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ঘুমের পরিবেশ তৈরিতে যাত্রীদের কানে ইয়ারপ্লাগ এবং চোখ ঢাকার জন্য স্লিপিং মাস্কও বিতরণ করবে কর্তৃপক্ষ। প্রথম দিনেই বাসটির চাহিদা ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রথম দিনের নির্ধারিত সব টিকিট বিক্রি হয়ে যায় বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
উলুর বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার কেনেথ কং বলেছেন, ‘আমি আমার এক বন্ধুর সোশ্যাল মিডিয়ার একটি পোস্টে দেখেছি যে, কাজের চাপে রাতে ভালো ঘুম না হওয়ায় সে ভীষণ অসুস্থ বোধ করছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, বাসে উঠলেই তার ঘুম এসে যায়। তখনই আমরা এই ধরনের সার্ভিসের কথা চিন্তা করি।’
তিনি আরও জানিয়েছেন, এই বাস ভ্রমণে জনপ্রতি টিকিটের দাম নিচতলা-দোতালা বিবেচনায় ১৩ ডলার (এক হাজার ১০০ টাকা) হতে ৫১ মার্কিন ডলার (৪ হাজার ৩০০ টাকা)। ৪৫ যাত্রী ধারণক্ষমতার বাসটিতে যাত্রীদের ভালো ঘুমের জন্য সরবরাহ করা হবে একটি গুডিব্যাগও, যেখানে থাকছে আইমাস্ক ও কানের প্লাগ। রোদ পোহানো কিংবা প্রাকৃতিক কর্মের জন্যও নির্ধারিত স্থানে থামার সুব্যবস্থাও রয়েছে বাসটিতে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।