দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা সবাই জানি ভিটামিন ও খনিজের অন্যতম সেরা উৎসই হলো ফল। প্রতিদিন অন্তত তাজা দুটি ফল খেলে তা আমাদের সুস্থ ও শরীর ফিট রাখতে সাহায্য করবে।
তবে যখন তখন নয়, ফল খেতে হবে সর্বোচ্চ পুষ্টি গ্রহণের জন্য নির্দিষ্ট সময়ে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, দিনে একবাটি তাজা ফল আপনাকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। তবে তা খেতে হবে অবশ্যই সূর্যাস্তের আগে।
সূর্যাস্তের আগে কেনো ফল খাওয়া উচিত?
ওয়েলনেস কোচ লুক কৌতিনহো সম্প্রতি তার ইনস্টাগ্রামে নিজের অনুসারীদের জানিয়েছেন, প্রাচীন ভারতীয় চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসারে সন্ধ্যায় ফল খেলে ঘুমের সময়সূচি ও হজম প্রক্রিয়া ব্যাহত করতে পারে। তাছাড়াও সূর্যাস্তের পর আমাদের বিপাকও ধীর হয়ে যায় ও কার্বস হজম করা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে।
তাহলে ফল কোন সময় খাওয়া উচিত?
চিকিৎকরা বলেন, ফল খাওয়ার সর্বোত্তম সময়ই হলো ভোরে খালি পেটে ফল খাওয়া। রাতের খাবার ও সকালের খাবারের মধ্যে প্রায় ১০ ঘণ্টার ব্যবধান থাকে। তাই আমরা সকালে যখন ঘুম থেকে উঠি তখন আমাদের পেট একেবারে খালি থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, খাবারের সঙ্গে মোটেও ফল যোগ করা উচিত নয় বা খাবারের পরপরই সেটি খাওয়া উচিত নয়। খাবার ও ফল খাওয়ার মাঝে অন্তত ২/৩ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে।
তাছাড়া বেশিরভাগ ফলই কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ। দ্রুত শক্তির একটি দুর্দান্ত উৎসই হলো ফল। তবে ফল রক্তে শর্করার মাত্রাও বাড়িয়ে তোলে। রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধির কারণে এটি ঘুমকে ব্যাহতও করতে পারে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।