দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চামড়ায় বাঁধানো বইয়ের কদরই আলাদা। বই সংগ্রাহকদের কাছে আজকের এই ভার্চুয়াল বইয়ের যুগেও ‘লেদার বাউন্ড’ বইয়ের মালিকানা বেশ শ্লাঘার ব্যাপার বটে।
বইয়ের বাঁধাইশিল্পীদের কাছেও পশুচামড়ায় বই বাঁধাই এক সূক্ষ্ম কারুশিল্প বলে বিবেচিত হয়ে থাকে। বই বাঁধাই শিল্পে বিভিন্ন পশুর চামড়া ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তবে মানুষের চামড়ায় বাঁধানো বই! শব্দ ক’টি উচ্চারিত হলেই যে কেও আঁতকে উঠতে বাধ্য হবেন।
বই বাঁধাইয়ের ইতিহাস নাড়াঘাঁটা করতে বসলে দেখা যায় যে, মানবত্বক ব্যবহার করে বেশ কিছু বই এক সময় বাঁধানো হয়েছে। এই কর্মটির একটি গালভারী নামও রয়েছে- ‘অ্যান্থ্রোপোডার্মিক বিবলিওপেজি’।
২০১৯ সালের একটি হিসেব অনুযায়ী দেখা যায়, বিশ্বের বিভিন্ন গ্রন্থাগারে ছড়িয়ে রয়েছে এমন অসংখ বই। ‘অ্যান্থ্রোপোডার্মিক বুক প্রোজেক্ট’ নামে সেই সমীক্ষা জানিয়েছে, বিভিন্ন গ্রন্থাগারেরর ৫০টি বইকে সন্দেহ করা হয় মানুষের চামড়ায় বাঁধানো হিসেবে। যারমধ্যে ৩১টি সম্পর্কে সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এগুলির মধ্যে ১৮টিকে বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিতভাবে মানুষের চামড়ায় বাঁধানো বলে চিহ্নিত করেন!
বই বাঁধাইয়ের ইতিহাস নাড়াঘাঁটা করতে গিয়ে আরও দেখা যায়, মানবত্বক ব্যবহার করে বেশ কিছু বই এক সময়ে বাঁধানো হয়েছে। এই কর্মটির একটি গালভারী নামও রয়েছে— ‘অ্যান্থ্রোপোডার্মিক বিবলিওপেজি’। ২০১৯ সালের একটি হিসেব বলছে, বিশ্বের বিভিন্ন গ্রন্থাগারে ছড়িয়ে রয়েছে এমন বই। ‘অ্যান্থ্রোপোডার্মিক বুক প্রোজেক্ট’ নামের সেই সমীক্ষা জানাচ্ছে, বিভিন্ন গ্রন্থাগারেরর ৫০টি বইকে সন্দেহ করা হয় মানুষের চামড়ায় বাঁধানো বলে। তার মধ্যে ৩১টি সম্পর্কে সন্দেহ ঘনীভূত হয়। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে এগুলির মধ্যে ১৮টিকে বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত ভাবে মানুষের চামড়ায় বাঁধানো বলে চিহ্নিত করেছেন।
ইংরেজ গ্রন্থ বিশেষজ্ঞ এডওয়ার্ড ব্রুক-হিচিং তাঁর ‘দ্য ম্যাডম্যান’স লাইব্রেরি’ গ্রন্থে এ সম্পর্কে মুখ খুলতে গিয়ে প্রথমেই যে প্রশ্নটি তুলেছেন তা হলো, এতোকিছুর চামড়া থাকতে কেনো মানুষের চামড়া দরকার পড়লো এই সব বইয়ের বাঁধাইকর্মে? আরও বিস্ময়ের বিষয় হলো, এইসব বাঁধাইকর্ম সংঘটিত হয়েছিল ১৮ ও ১৯ শতকের ইউরোপে। অর্থাৎ ‘জ্ঞানদীপ্তি’র যে সময় যুক্তিবাদের প্রবল বন্যা এসে ভাসিয়ে দিয়েছে যাবতীয় কুসংস্কার ও উদ্ভট প্রথা, সেই সময়ই মানুষের চামড়া দিয়ে বাঁধানো হয়েছিল এইসব বই!
ব্রুক-হিচিং জানিয়েছেন, ইউরোপ ও আমেরিকায় সেই সময় মানুষের চামড়া দিয়ে বাঁধানো হতে থাকে প্রধানত দু’ধরনের বই। প্রথমত, বিভিন্ন অপরাধের ‘কেস স্টাডি’ ও দ্বিতীয়ত, চিকিৎসাবিদ্যা সংক্রান্ত বইপত্র।
১৭৮৯ সালে ফরাসি বিপ্লবের সময় গুজব রটে যে, প্যারিসের উপকণ্ঠে মিউডন শহরে মানুষের চামড়াকে বই বাঁধানোর উপযোগী করে তোলার জন্য একটি ট্যানারি বানানো হয়েছে। সম্ভবত বিপ্লবের ভয়াবহতা হতেই এমন গুজবের জন্ম হয়েছিলো। ছবি ও সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।