দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিলাসবহুল বাড়ি মার-আ-লাগো থেকে গুরুত্বপূর্ণ অন্তত ১১ সেট গোপন নথি উদ্ধার করেছে দেশটির অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা এবং নিরাপত্তা সংস্থা এফবিআই।
উদ্ধারকৃত এইসব নথির মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বাহিনী সম্পর্কিত ‘টিএস/এসসিআই’ কিংবা ‘অতি গোপনীয়’ ক্যাটাগরি নথিও রয়েছে, যা বেহাত হলে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য ‘ব্যাপক’ এবং ‘গুরুতর’ ক্ষতির আশঙ্কা ছিলো।
গত ৮ আগস্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের পাম বিচ শহরে ট্রাম্পের বাসভবন মার-আ-লাগোতে তল্লাশি চালিয়েছে এফবিআইয়ের একটি দল। ওই দিন অবশ্য ট্রাম্প ফ্লোরিডায় ছিলেন না।
অভিযানে ট্রাম্পের বাসভবন হতে বেশ কিছু জিনিস জব্দ করেছিল এফবিআই। শুক্রবার বিকেলে ফ্লোরিডার একটি আদালতের নির্দেশে জব্দকৃত জিনিসের তালিকাও প্রকাশ করা হয়।
সেই তালিকার বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে মার্কিন গণমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে যে, মার-আ-লাগো থেকে ২০টি বাক্স, ফটো বাইন্ডার ও ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের মিত্র রাজনৈতিক পরামর্শদাতা রজার স্টোনের পক্ষে লেখা একটি চিঠিও ছিলো। তাছাড়াও ‘ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট’ সম্পর্কে লেখা একটি নথি উদ্ধার করা হয়। যদিও ওই নথিতে কী বলা হয়েছে তা স্পষ্ট জানা যায়নি।
ট্রাম্বেপর বাসভবন হতে উদ্ধার ১১ সেট নথি কয়েকটি শ্রেণীতে ভাগ করেছে এএফবিআই। এইসবের মধ্যে একটি সেট মার্কিন নিরাপত্তা ব্যবস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ও ‘টিএস/এসসিআই’ বা ‘অতি গোপন/ সংবেদনশীল’ তালিকাভূক্ত বলে জানা যায়। এফবিআইএর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, এই নথি যদি বেহাত হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গুরুতর হুমকির মুখে পড়ে যাবে।
উদ্ধারকৃত অন্যান্য ফাইলের মধ্যে ৪ সেট ‘অতি গোপন’ ক্যাটাগরি, ৩ সেট ‘গোপন’ ক্যাটাগরি নথি, ও ৩ সেট ‘গোপনীয়’ ক্যাটাগরির নথি রয়েছে। নথিগুলোর বিষয়ে এর চেয়ে বেশি বিস্তারিত কিছুই বলে নি এফবিআই।’
অবশ্য ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে এক বিবৃতিতে বলেছেন, উদ্ধারকৃত আইটেমগুলো ‘সব ডিক্লাসিফাইড’ ও নিরাপদেই সংরক্ষণ করা হয়েছিল। তিনি বলেছেন, ‘এফবিআই যদি চাইতো, তাহলে যে কোনো সময় এইসব নথি পেতে পারতো। তখন আমিই তাদেরকে হস্তান্তর করতাম। পরোয়ানা নিয়ে তল্লাশি চালানোর কোনোই প্রয়োজন ছিল না।’
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।