দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বছর শেষ হয়ে আসছে যে কারণে আপনার সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করার প্রস্তুতি শুরু করেছেন অনেকেই। ঠিক কী কী প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে আপনাতে তা কী জানেন? আজ জেনে নিন সেই বিষয়টি।
আপনার সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করানোর সময় বেশ কিছু জিনিসের প্রয়োজন হয়। অনেকগুলো প্রশ্ন উঠে আসে সেই সময়। যা হয়তো আপনার জানা নাও থাকতে পারে।
বর্তমান সময়ে সন্তানের বয়স ২ পেরোনো পরই বাবা-মায়েদের মাথায় সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করানোর চিন্তা শুরু হয়ে যায়। শুরু হয়ে যায় সন্তানকে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পাঠানোর দৌড়। কার সন্তান কতো ভালো স্কুলে পড়ার সুযোগ পাবে, বিষয়টি নিয়ে বাবা-মায়েদের মধ্যেও চলে প্রতিযোগিতা। ছোট থেকেই বাংলা কবিতার পাশাপাশি সন্তানকে শেখানো হয় ইংরেজি ছড়াও। তবে তারপরও অনেক কিছুই অজানা থাকতে পারে। তবে কোন বিষয়টি আসবে ভর্তির সময় সেই বিষয়গুলো আজ জেনে নিন।
# যেমন আপনি কোন পেশার সঙ্গে যুক্ত?
# আপনার শিক্ষাগত আসলে যোগ্যতা কী?
# আপনার সন্তান সম্পর্কে দুই লাইনে বলুন।
# আপনার সন্তানের একটি ভালো দিক এবং একটি খারাপ দিক সম্পর্কে বলুন।
# আপনারা দু’জনেই কী কর্মরত? আপনাদের অবর্তমানে সন্তানকে দেখাশোনা কে করে?
# দিনের কতোটা সময় আপনারা সন্তানের সঙ্গে কাটান?
# সন্তান বায়না করলে তাকে কীভাবে সামাল দেন?
# সন্তানের টিভি কিংবা মোবাইল দেখার জন্য দিনে কতোখানি সময় বরাদ্দ করেছেন? টিভি কিংবা মোবাইলে আপনার সন্তান কোন ‘শো’ দেখে?
# আপনি অভিভাবক হিসাবে পড়াশোনার উপরেই বেশি জোর দেবেন, না কি পাঠ্যবহির্ভূত কার্যকলাপ যেমন- খেলাধুলা, নাচ-গান কিংবা ছবি আঁকার উপরে বেশি জোর দেবেন?
# আপনার সন্তানের জন্য আমাদের স্কুলটিকেই কেনো বেছে নিয়েছেন? আপনি কী অন্য কোনও স্কুলেও শিশুর ভর্তির জন্য আবেদন করেছেন?
সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করার পূর্বে এইসব প্রশ্নের মুখোমুখি হওয়ার জন্য আপনি তৈরি থাকুন। তবে কেবল প্রশ্নের উত্তর দিলেই চলবে না, ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার পূর্বে আরও বেশ কিছু বিষয় থাকে যেগুলো অবহেলা করলে মোটেও চলবে না! দেখে নিন কোন কোন বিষয়ে আরও নজর দিতে হবে।
# পোশাক যেনো শালীন হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। বাবারা শার্ট কিংবা টিশার্টের সঙ্গে প্যান্ট পরতে পারেন। মায়েরা শাড়ি, চুড়িদার, কুর্তি-লেগিন্স কিংবা জিন্সও পড়তে পারেন। সন্তানকেও সুন্দর করে তৈরি করতে হবে। জমকালো কোনও পোশাক কখনও পরাবেন না।
# আত্মবিশ্বাসী থাকতে হবে। আপনাকে যা যা প্রশ্ন করবে, আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তার জবাব দিতে হবে। আপনার ইতিবাচক আচরণের উপরই নির্ভর করে আপনার সন্তানের ব্যবহার।
# জরুরি নথি সুন্দর করে ফাইলে গুছিয়ে নিয়ে তারপর ভর্তি পরীক্ষাস্থলে যান। প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে কখনও সেই ফাইল নিয়ে যাবেন না। আওয়াজ হবে না, এমন ব্যাগই ব্যবহার করুন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।