দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিছানায় গেলে আর বিছানা ছাড়তেই ইচ্ছে করে না? তাহলে কোনও রোগ বাসা বাঁধেনি তো আপনার শরীরে? আজ রয়েছে সেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা।
আয়রণের অভাবেই প্রচুর মানুষ ভোগেন রক্তাল্পতার মতো মারাত্মক রোগগুলোতে। আয়রণের ঘাটতির কারণে হতে পারে হৃদরোগও। কী করে বুঝবেন তা, শরীরে এই খনিজের ঘাটতি কেনো হচ্ছে?
হালফিলে খাওয়া-দাওয়ায় অনিয়ম প্রত্যাহ জীবনের অঙ্গ। অফিসে কাজের মধ্যে হালকা খিদে হোক কিংবা বাড়িতে রাতের খাবার, রেস্তরাঁর খাবারই হলো ভরসা অনেকের! অস্বাস্থ্যকর খাবারের জেরে শরীরে যেসব খনিজের ঘাটতি হয়ে থাকে, তারমধ্যে অন্যতম হলো আয়রনণ।
শরীরে আয়রণের অভাবে সাম্প্রতিক সময় বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে মহিলাদের মধ্যে এই ধরনের সমস্যা একটু বেশিই চোখে পড়ে। আয়রণের অভাবে শরীরে স্বাভাবিক কার্যকলাপ বিঘ্নিত হয় ও এই আয়রণের অভাবেই প্রচুর মানুষ রক্তাল্পতার মতো মারাত্মক রোগে ভুগে থাকেন। আয়রণের ঘাটতির কারণে হতে পারে হৃদরোগও। তাহলে কী করে বুঝবেন, শরীরে এই খনিজের ঘাটতি রয়েছে? কিছু লক্ষণ দেখে খুব সহজেই নির্ধারণ করা যেতে পারে। কোন কোন লক্ষণ দেখলে সাবধান হতে হবে তা জেনে নিন।
# ঘন ঘন নানা ধরনের সংক্রমণ হচ্ছে? পেটের সমস্যা, ত্বকে জ্বালা জ্বালা ভাব লেগেই রয়েছে? এর কারণ হতে পারে আয়রণের ঘাটতি।
# আয়রণের ঘাটতি হলে শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণও তখন কমে যায়। যে কারণে ক্লান্তিভাবও আসে। সেজন সারাক্ষণ ঘুম ঘুম পায়। ঘুম থেকে ওঠার পরেও ক্লান্তিই যেনো কাটে না। এমন হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন।
# আপনার জিভে মাঝে-মধ্যেই ঘা হচ্ছে? জিভ সারাক্ষণ জ্বালা করছে? জিভের ঘন ঘন সংক্রমণও আয়রণ কমে যাওয়ার কারণে ঘটতে পারে।
# ঘুমের মধ্যে আপনার পা দুটো ক্রমাগত নড়ছে? চিকিৎসার পরিভাষায় এটিকে বলা হয়, ‘রেস্টলেস লেগস সিন্ড্রোম’। শরীরে আয়রণের ঘাটতি হলে এই উপসর্গটি দেখা যেতে পারে।
# আপনার প্রচুর চুল পড়ছে? মৌসুম ভেদে চুল পড়ার সমস্যা হতে পারে। তবে অস্বাভাবিক হারে চুল উঠতে থাকলে আয়রণের অভাবেও অনেক সময় এমন হতে পারে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।