দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমানে আধুনিক এই ইন্টারনেটের যুগে নেটদুনিয়া থেকে শিশুদের দূরে রাখা কার্যত অসম্ভব একটা ব্যাপার। নেট ঘাঁটলেই অযথা বকাঝকা না করে সুকৌশলে ইতিবাচক দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া যেতে পারে।
সুযোগ পেলেই ফোনে মুখ গুঁজে বসে থাকে সন্তান। সন্তানের বয়স ৮ হোক কিংবা ১৮ই হোক, নেটমাধ্যমে আসক্তি নিয়ে অভিভাবকদের দুশ্চিন্তার যেনো শেষ নেই। একেবারেই খুদেদের ক্ষেত্রে থাকে গেম বা কার্টুনের আকর্ষণ এবং কৌশোরে পা দেওয়ার পর বয়ঃসন্ধির কৌতূহলও। ইন্টারনেটের যুগে নেটদুনিয়া থেকে শিশুদের দূরে রাখাও কার্যত অসম্ভব একটা ব্যাপার। তাই ইন্টারনেট ঘাঁটলেই বকাঝকা না করে বরংচ বিষয়টিকে যদি সুকৌশলে ইতিবাচক দিকে ঘুরিয়ে দিতে পারে, তবে নেটমাধ্যমও শাপে বর হতে পারে।
এজন্য যা আপনাকে করতে হবে:
বন্ধুত্ব বাড়ুক
শিশুদের যেমন পড়াশোনা চাপ বাড়ছে তেমনি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শিশুদের একাকিত্বও। যৌথ সংসারে ভাঙন, পৃথক পৃথক ফ্ল্যাটে থাকা, খেলার জন্য মাঠের অভাব, সব মিলিয়ে বন্ধু তৈরির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে অনেক শিশুকে। যে কারণে চাপ বাড়ছে শিশু মনেও, সমস্যা হচ্ছে মানুষের সঙ্গে মিশতে গিয়ে। এখানেই মুশকিল আসান হতে পারে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম বা টুইটারের মতো মাধ্যমগুলো। বিশেষ করে কৈশোরে পা দেওয়ার পর বন্ধুত্বের সীমা বাড়াতে কাজে আসতে পারে সমাজমাধ্যমও। তবে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে, বন্ধুত্বের উছিলায় অনেক রকম প্রতারণার ফাঁদও থাকে নেটমাধ্যমে। সন্তানকে সেই সম্পর্কে সতর্ক করার দায়িত্ব মা-বাবারই।
এক জীবনশৈলীর পাঠ
বয়ঃসন্ধিকালে মানসিক স্বাস্থ্য, যৌনতা, লিঙ্গপরিচয়ের মতো সংবেদনশীল বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলতে সঙ্কোচবোধ করে থাকে অনেকেই। মা-বাবার সঙ্গেও বহু ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলো নিয়ে সরাসরি কথা বলতে পারে না সন্তানরা। নেটমাধ্যমে এই বিষয়গুলো নিয়ে নানা সচেতনতামূলক প্রচার দেখা যায়। যে বিষয়গুলো নিয়ে সাবলীলভাবে কথা বলতে সাহায্য করতে পারে আপনার সন্তানকে।
সৃজনশীলতার প্রকাশ ঘটাতে হবে
শিশুর নিজের আঁকা ছবি, সদ্য শেখা আবৃত্তি বা ভালোবেসে গেয়ে ওঠা গানে কয়েকটি প্রশংসা শিশুদের মনে সঞ্চার করতে পারে অনাবিল আনন্দও। কৌশোরের সেই সৃজনশীলতা প্রকাশের অদ্বিতীয় মাধ্যম হতে পারে এই নেটদুনিয়া। ফেসবুকে প্রকাশ করা কোনও গানের ভিডিওতে আসা লাইক আরও উৎসাহ দিতে পারে।
তবে ভালো দিকের পাশাপাশি, নেটমাধ্যমে রয়েছে নানা বিপদ। তাই সেখানে সন্তানদের আনাগোনা নিয়ে কিছুতেই চিন্তামুক্ত হতে পারেন না বর্তমানে অভিভাবকরা। সেই ক্ষেত্রে উপায় হতে পারে ‘পেরেন্টাল লক’-এর মতো ব্যবস্থাও। এছাড়াও শিশুদের ব্যবহারের উপযোগী অ্যাপও নিয়ে এসেছে একাধিক সংস্থা। তবে অভিভাবকদের অতিরিক্ত নজরদারি যেনো শিশুর মনে ভয় কিংবা অবিশ্বাসের কারণ না হয়ে ওঠে, সেদিকে সতর্ক থাকা দরকার। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।