দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফোন নিয়ে একটু সময় ঘাঁটাঘাঁটি করলেই হ্যাং হয়ে যাচ্ছে। যে কোনও একটি অ্যাপ খুলতে গেলেই বেশি সময় লেগে যাচ্ছে যে তা বলার নয়! এর সমাধান হবে কীভাবে?
হয়তো আপনি বছরখানেকও হয়নি নতুন ফোন কিনেছেন। বাইরে থেকে দেখতেও দিব্যি নতুনের মতোই। বোঝাই যাচ্ছে ফোনের অযত্নও করেন না। তবে কিছু দিন ধরে ফোনটার একটা রোগ দেখা যাচ্ছে। আর তা হলো ফোন নিয়ে একটু ঘাঁটাঘাঁটি করলেই হ্যাং হয়ে যাচ্ছে। আপনি কোনও একটা অ্যাপ খুলতে গেলেও বেশি সময় লেগে যাচ্ছে! এক বছরের মধ্যেই ফোনের এই হাল দেখে বিরক্ত হচ্ছেন- সেটিই স্বাভাবিক!
তাহলে কেনো হ্যাং হচ্ছে আপনার মোবাইল?
# আপনার ফোনের র্যাম মেমোরি কেমন? ফোন কেনার আগে এই বিষয়টির উপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ হলো, র্যাম মেমোরি কম হলে ফোন হ্যাং করে অনেক সময়। ফোনের র্যাম কম থাকলে বেশি ভারি এইচডি ভিডিও বা গেম কখনও ডাউনলোড করবেন না।
# আপনি হয়তো জানেনই না যে, আপনার ফোনে একাধিক অ্যাপ ব্যাকগ্রাউন্ডেই চলছে। তা থেকেও ফোন হ্যাং হয়ে যেতে পারে। তাই টাস্ক ম্যানেজারে গিয়ে সেইসব অ্যাপগুলো বন্ধ করে দিন। মোবাইলে একসঙ্গে একাধিক অ্যাপ না খুলে রাখাই ভালো।
# অনেকেই ফোনে থ্রিডি ওয়ালপেপার কিংবা লাইভ ওয়ালপেপার ব্যবহার করে থাকেন। এগুলো ফোনে থাকলে মোবাইল স্টোরেজও কমে যায়, তাই এই ধরনের ওয়ালপেপারও ফোন হ্যাং করার জন্য অন্যতম কারণ হতে পারে।
# নিয়মিত ইন্টারনাল মেমোরির ক্যাশ পরিষ্কার রাখেন তো? না হলে আপনার মেমোরি স্টোরেজ ভরে যেতে থাকে। ফোনের ইন্টারনাল স্টোরেজ কখনও বেশি ব্যবহার করবেন না। এর বদলে এক্সটারনাল স্টোরেজ ব্যবহার করতে পারেন।
# মাঝে-মধ্যে আপনার ফোনটি রিস্টার্ট করুন। এতে করে ফোনের মেমোরি রিফ্রেশ হবে। অন্তত ১৫ দিনে এক বার এমনটি করলে ফোন হ্যাং করা কমে যাবে।
# আপনার ফোনের অ্যাপগুলো সব সময় আপডেটেড রাখতে হবে। অ্যাপের আপডেটেড ভার্সনগুলো মেমরিতে কম জায়গা গ্রহণ করে। যে কারণে ফোন হ্যাং হওয়ার সম্ভাবনাও কমে যায়। তাছাড়া অ্যাপগুলোও এক্সটারনাল মেমোরিতে রাখুন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।