দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৩ খৃস্টাব্দ, ২২ পৌষ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৪ হিজরি। দি ঢাকা টাইমস্ -এর পক্ষ থেকে সকলকে শুভ সকাল। আজ যাদের জন্মদিন তাদের সকলকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা- শুভ জন্মদিন।
যে মসজিদটি আপনারা দেখতে পাচ্ছেন সেটি নোয়াখালী ঐতিহাসিক বজরা শাহী মসজিদ। এটি ৩শ’ বছরের পুরোনো একটি মসজিদ। যা কালের স্বাক্ষী হিসেবে এখন দাঁড়িয়ে আছে।
নোয়াখালীর বজরা শাহী মসজিদ ১৮শ’ শতাব্দীতে নির্মিত হয়। জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলাধীন বজরা ইউনিয়নের অবস্থিত। নোয়াখালীর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোর মধ্যে রয়েছে এই মসজিদটি। ২৯ নভেম্বর ১৯৯৮ থেকে বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ বজরা শাহী মসজিদের ঐতিহ্য রক্ষা ও দুর্লভ নিদর্শন সংরক্ষণের জন্য কাজ করছে।
মোঘল আমলের যেসব স্থাপত্য শিল্প সবার নজর কেড়েছিলো, নোয়াখালীর বজরা শাহী মসজিদ তার মধ্যে অন্যতম একটি। বজরা শাহী মসজিদ নির্মাণ করা হয় ঠিক দিল্লি শাহী মসজিদের আদলে। এই মসজিদটি নোয়াখালীর বৃহত্তম শিল্পনগরী চৌমুহনী চৌরাস্তা থেকে ৮ কিলোমিটার উত্তরে বজরা নামক গ্রামে অবস্থিত।
বজরা শাহী মসজিদের অবস্থান হলো আয়তাকার (১৬ মি.×৭.৩২ মি.), মসজিদটি উত্তর দক্ষিণে লম্বা। বাইরের ৪ কোণায় অষ্টভুজাকৃতির বুরুজ রয়েছে। মসজিদের পূর্বে ৩টি, উত্তরে ও দক্ষিণে একটি করে মোট ৫টি দরজা রয়েছে।
বজরা শাহী মসজিদের ইতিহাস হলো মোঘল সম্রাট মুহাম্মদ শাহের রাজত্বকালে ১৭৪১-৪২ খ্রিষ্টাব্দে এই মসজিদটি আমান উল্লাহ কর্তৃক নির্মিত হয়। ১৯১১ হতে ১৯২৮ সালের মাঝামাঝি সময় বজরা জমিদার খান বাহাদুর আলী আহমদ এবং খান বাহাদুর মুজির উদ্দিন আহমদ মসজিদটি মেরামত করেছিলেন ও সিরামিকের মোজাইক দিয়ে সজ্জিত করেন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।