দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাচ্চারা প্রায় সময়ই খেতে চাইনা। সেটিই স্বাভাবিক বলে আমরা ধরে নিই। কিন্তু অনেক সময় এই খেতে না চাওয়ায় বড় কোনো রোগের লক্ষণ হতে পারে।
শুধু খেতে না চাওয়াই নয়, অনেক সময় খেলাধুলো করতে না চাওয়া, খিটখিটে মেজাজ- শিশুদের এমন নানা অভ্যাসগুলো সমস্যার কারণ হতে পারে।
শিশুরা দৌড়ঝাঁপ করবে, খেলবে, পড়বে-কাটবে, আবার সেরেও যাবে। তেমনটিই আশা থাকে প্রত্যেক অভিভাবকের। খাবার খাওয়া নিয়ে কমবেশি সব শিশুরই সমস্যা থেকেই যেতে পারে। তাই এ নিয়ে প্রথম প্রথম খুব বেশি চিন্তা হওয়ার হয়তো কিছুই থাকে না। তবে আপাতদৃষ্টিতে সুস্থ মনে হলেও খিটখিটে মেজাজ, দুর্বলতা, খিদে না পাওয়ার মতো সমস্যাগুলো স্বাভাবিক নাও হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শিশুদের এমন ধরনের অভ্যাস, যা কাছের মানুষদের চোখে স্বাভাবিক লাগলেও, তা আসলে শরীরে কোনও যৌগের অভাবেও এমনটি হতে পারে। এমনটি হলে খাওয়া-দাওয়ার সঙ্গেসঙ্গে নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শও নেওয়া দরকার।
ভিটামিন এ’র অভাব
ছোটবেলা থেকেই কী সন্তান চোখে ঝাপসা দেখছে? খেয়াল করে দেখুন, চোখের সাদা অংশে লাল কিংবা খয়েরি দাগ রয়েছে কি-না। এই সমস্যা ভিটামিন এ-‘র অভাবে হতে পারে। এ ছাড়াও, এই ভিটামিনের অভাবে শিশুরা পেটের সংক্রমণে ভুগতে পারে।
ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের অভাব হতে পারে
আপনি যখনই সন্তানকে খাওয়াতে বসেন, সন্তান খাবার মুখে নিয়ে তখন ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকে। আপনি যে খাবারই খেতে দেন না কেনো, সবেতেই তার অনীহা। খিদে না পাওয়া ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের অভাবেও হতে পারে। তাছাড়াও শারীরিক দুর্বলতা, ঠোঁটে কিংবা জিভে ঘায়ের মতো সমস্যা এই ভিটামিনের অভাবেই হতে পারে।
ভিটামিন ডি’র অভাব
অনেক সময় হাড়ের জোর না থাকলে বাড়ন্ত শিশুদের শরীরের গঠন কোনওভাবেই ঠিক হবে না। খেলাধুলো করতে গিয়ে পড়ে গেলে, হাত-পায়ের হাড় ভেঙে যেতে পারে খুব সহজেই। তাছাড়াও দুধের দাঁত পড়ে গেলে কিংবা নতুন দাঁত উঠতেও অনেক সময় দেরি হয়।
ভিটামিন সি’র অভাব
আপনার সন্তান দু’দিন অন্তর অন্তর সর্দিকাশিতে ভুগছে। ক’দিন ধরে লক্ষ্য করছেন যে, আপনার সন্তান দাঁত মাজতে গিয়ে মাড়ি থেকে রক্ত পড়ছে। এই সব সমস্য ভিটামিন সি’র অভাবেও হতে পারে।
ক্যালশিয়ামের অভাব হওয়া
সাধারণত শরীরে ভিটামিন ডি’র ঘাটতি থাকলে, তখন ক্যালশিয়াম পুরোপুরি শোষিত হতে পারে না। হাড়়, দাঁতের সমস্যা, পেশিতে টান, চনমনে ভাব না থাকা ইত্যাদি এই সব সমস্যা ক্যালশিয়ামের অভাবেই হতে পারে।
আয়রণের অভাব
আপপনার সন্তান ফর্সা, তবে ইদানীং যেনো স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ম্লান লাগছে তাকে। তাছাড়াও একাগ্রতার অভাব, খিটখিটে মেজাজ হওয়া, বার বার ঠাণ্ডা লাগা আয়রণের অভাবেও হতে পারে।
সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের অভাব হওয়া
অন্য পাঁচটা সন্তানের মতো আপনার সন্তানও লাফিয়ে-ঝাঁপিয়ে খেলাধুলোও করতে পারছে না। তা নিয়ে আপনি বেশ চিন্তায় রয়েছেন। ঘুমের মধ্যে পায়ের পেশিতে এমন টান ধরছে যে কান্নাকাটিও করছে। এই সমস্যা সোডিয়াম, পটাশিয়ামের অভাবেও হতে পারে বলে মত দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।