দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ১৩ বছর বয়সী অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর প্রেমে পড়েছেন ৪৭ বছরের এক স্কুল শিক্ষক। ওই শিক্ষার্থীকে একপাতার প্রেমপত্রও লিখে পাঠিয়েছেন। কিন্তু তারপর যা ঘটলো তা শুনলে আপনিও অবাক হবেন!
ওই শিক্ষার্থী তার শিক্ষকের প্রেমপত্রের কথা সোজা পরিবারকে জানিয়ে দিয়েছে। ভারতের উত্তরপ্রদেশের বল্লারপুরের একটি কম্পোজিট স্কুলে ঘটেছে এমন একটি ঘটনা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, গত ৭ জানুয়ারি এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন শিক্ষার্থীর বাবা। শ্লীলতাহানির অভিযোগও দায়ের করা হয়। তবে ওই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, হরিওম সিং নামে ওই শিক্ষক এক পৃষ্ঠার প্রেমপত্রে ছাত্রীর প্রতি তার ভালোবাসার কথা প্রকাশ করেন। তিনি ওই শিক্ষার্থীকে চিঠিটি পড়ার পর ছিঁড়ে ফেলতেও বলেন। ওই শিক্ষক প্রেমপত্রটি একটি শুভেচ্ছা কার্ডে লুকিয়ে রাখেন ও গত ৩০ ডিসেম্বর তার ছাত্রীকে সেটি দেন।
দেশটির স্থানীয় পুলিশ সূত্রে বলা হয়, প্রেমপত্রে ছাত্রীর নামও লিখেছেন শিক্ষক। লিখেছেন যে, তিনি ছাত্রীকে অসম্ভব ভালোবাসেন। স্কুলে লম্বা ছুটি পড়ে গেলে তিনি তার অভাব বোধ করবেন। আরও লেখেন যে, স্কুল যখন ছুটি থাকবে তখন যেনো সে শিক্ষকের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ রাখেন।
ওই শিক্ষক আরও লিখেছেন যে, স্কুল বন্ধ হওয়ার আগে যেনো তার সঙ্গে একবার দেখা করে যান, যদি সত্যি সত্যিই ছাত্রী তাকে ভালোবাসে। শিক্ষকের কাছ থেকে এমন চিঠি পাওয়ার পর ওই শিক্ষার্থী তার মা-বাবাকে পুরো ঘটনাটি বলে দেয়। ওই শিক্ষকের লেখা চিঠি পরিবারের হাতেও তুলে দেয়।
শিক্ষকের এমন কাণ্ডে ক্ষিপ্ত হন মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা। তারা তখন ওই শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাকে এই কাজের জন্য ক্ষমাও চাইতে বলেন। তবে ক্ষমা চাননি ওই শিক্ষক। তিনি উল্টো তাদের মেয়েকে গায়েব করে দেওয়ার হুমকিও দেন। তারপরেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সেই ছাত্রীর পরিবারবর্গ। শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।
সংবাদ মাধ্যমকে স্থানীয় এসপি কানওয়ার সিং অনুপম জানিয়েছেন, ছাত্রীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অপরদিকে এই ঘটনায় শোরগোল শুরু হওয়ায় নড়চড়ে বসেছে জেলা শিক্ষা দপ্তর।
দেশটির স্কুল শিক্ষা দপ্তরের কর্মকর্তা কৌস্তভ সিংহ বলেছেন, তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।