দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান যুগে আমাদের জীবনের অন্যতম অনুষঙ্গই হলো সেলফোন। পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগের পাশাপাশি অনেক ব্যক্তিগত তথ্যও জমা থাকে এই ফোনে। তবে সেলফোন ব্যবহারের সঙ্গে হ্যাকিংয়ের ঝুঁকিও দিন দিন বাড়ছে।
একজন হ্যাকার খুব সহজেই সেলফোনে প্রবেশ করে ব্যাংক একাউন্টের তথ্য, ব্যক্তিগত ছবি এবং ইমেইলের মতো সংবেদনশীল তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে। তাই সেলফোনকে হ্যাকারদের হাত থেকে সুরক্ষার্থে বেশ কয়েকটি বিষয়ে জানালো গিজচায়না- শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার: সেলফোন সুরক্ষিত রাখার প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপটি হচ্ছে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা। তাই এমন পাসওয়ার্ড সেট করুন যাতে বড় এবং ছোট অক্ষর, সংখ্যাসহ বিশেষ অক্ষরও থাকে।
অপারেটিং সিস্টেম আপডেট
প্রায় সময় নিরাপত্তা ত্রুটির সমাধানে অপারেটিং সিস্টেম আপডেট দেওয়া হয়। আপডেটের মাধ্যমে হ্যাকাররা অনুপ্রবেশ করতে পারে এমন সমস্যার সমাধান হয়ে থাকে। তাই সেলফোন অপারেটিং সিস্টেমটি নিয়মিত আপডেট গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোডে বিশ্বস্ত সোর্স
গুগল প্লে স্টোর কিংবা অ্যাপল অ্যাপ স্টোরের মতো বিশ্বস্ত সোর্স হতে অ্যাপ ডাউনলোড সেলফোনকে ম্যালওয়্যার থেকে সুরক্ষা দিতে পারে।
অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার
অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ইনস্টলের মাধ্যমে ভাইরাস, স্পাইওয়্যার এবং ট্রোজানসহ বিভিন্ন ম্যালওয়্যার হতে সেলফোনকে সুরক্ষিত রাখা যাবে।
পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহারে সতর্ক হতে হবে
পাবলিক ওয়াইফাই নেটওয়ার্কগুলো মোটেও নিরাপদ নয়। এটি মূলত হ্যাকারদের সেলফোনে প্রবেশকে সহজ করে। ব্যাংকিং, অনলাইন শপিং কিংবা ব্যক্তিগত ইমেইল অ্যাকসেস করার মতো সংবেদনশীল কাজে পাবলিক ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক ব্যবহার না করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন
টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন (টুএফএ) হলো নিরাপত্তার অতিরিক্ত একটি স্তর। এটি ব্যবহারকারীকে অ্যাকাউন্টে প্রবেশের জন্য দুই পর্যায়ের শনাক্তকরণ প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে নিয়ে গিয়ে থাকে। টুএফএ কার্যকর থাকলে পাসওয়ার্ড চুরি হলেও ডিভাইসে সহজেই প্রবেশ করা যাবে না।
ফিশিং স্ক্যাম
ফিশিং স্ক্যামগুলো এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যা ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য গ্রহণের জন্য প্রতারণা করতে সক্ষম। এতে ব্যবহারকারীর কাছে পাসওয়ার্ড কিংবা ক্রেডিট কার্ড সম্পর্কিত তথ্য চাওয়া হয়ে থাকে। এই ধরনের ইমেইল কিংবা টেক্সট মেসেজ হতে আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে। এছাড়াও কোনো লিংকে কিক করতে বললেও তাতে প্রবেশ করা যাবে না।
রিমোট ওয়াইপ অপশন কার্যকর করা
সেলফোন কখনও হারিয়ে গেলে বা চুরি হয়ে গেলে, রিমোট ওয়াইপ অপশন ব্যবহারকারীকে ফোনের সমস্ত তথ্যই দূর থেকে মুছে ফেলতে সাহায্য করে থাকে। ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্যে অন্যের অনুপ্রবেশকেও রুখে দেয় এটি।
সেলফোন রুট কিংবা জেলব্রেক
রুট করা কিংবা জেলব্রেক বিভিন্ন ধরনের ম্যালওয়্যার এবং ভাইরাসের জন্য ব্যবহারকারীর সেলফোনকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে। তাই সেলফোন রুট কিংবা জেলব্রেক করা হতে বিরত থাকা গুরুত্বপূর্ণ।
ভিপিএন ব্যবহার
ভিপিএন কিংবা ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক হচ্ছে এমন একটি টুল যা ব্যবহারকারীর ইন্টারনেট সংযোগ এনক্রিপ্ট করে ব্যক্তিগত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে রুট করে দেয়। এটি সেলফোনের তথ্যকে পাবলিক ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক কিংবা অন্যান্য অসুরক্ষিত নেটওয়ার্ক ব্যবহারের মাধ্যমে হ্যাকারদের আক্রমণ হতে সুরক্ষা দেয়।
অনলাইনে তথ্য প্রকাশ
অনলাইনে ব্যক্তিগত তথ্য যেমন- পাসওয়ার্ড, ক্রেডিট কার্ডের বিবরণ সম্পর্কিত তথ্য কখনই শেয়ার করা যাবে না। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো কিছু শেয়ার করার পূর্বে ভেবে নিতে হবে এবং সতর্ক থাকতে হবে।
এনক্রিপশন ব্যবহার
এনক্রিপশন হলো মূলত ব্যবহারকারীর তথ্যকে একটি কোডে রূপান্তর করার প্রক্রিয়া, যা শুধু ব্যবহারকারীই দেখতে এবং প্রবেশ করতে পারবে। ব্যাংকিং বিবরণ, ব্যক্তিগত ছবি ও ইমেইলের মতো তথ্য সুরক্ষার জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ বলা যায়।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।