দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকেই ফিট থাকতে সকাল ও রাতের খাবারের দিকেই বেশি নজর দেন। কিন্তু বার্ধক্যে সুস্থ থাকতে দুপুরেও কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। তা হলে ভিতর থেকে সুস্থ থাকবে আপনার শরীর।
আমরা অনেক সময় দেখি অনেকেই দুপুরের খাবার খেতে খেতে সেই বিকাল পেরিয়ে যায়- এটি একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। সুস্থ থাকার শেষ কথায় শুধু ডায়েট ও শরীরচর্চায় নয়। সারাদিন কয়েকটি বিষয়ের উপর নজর দেওয়াটাও জরুরি। অনেকেই সকাল ও রাতে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে চলেন। দীর্ঘদিন সুস্থ থাকতে সেটিই কিন্তু যথেষ্ট নয়। বরং নিজেকে ফিট রাখতে হলে দুপুরেও কিছু অভ্যাস আপনাকে বদলাতে হবে। দুপুরের সময়টা অনেকের অফিসেই কাটে। যে কারণে কাজের ফাঁকে নিজের যত্ন নেওয়ার সময় থাকে না মোটেও। তবে পৃথকভাবে যে সময় বের করতে হবে, বিষয়টি তেমনও কিন্তু নয়। দুপুরে যদি কিছু নিয়ম মেনে চলা যায়, তাহলে ফিট থাকা খুবই সহজ হবে।
সময় নিয়ে খেতে হবে
সকালে অফিসে আসার পূর্বে তাহাহুড়ো থাকলেও খুব একটা চিন্তা থাকে না। যে কারণে নাস্তায় যাই থাক না কেনো, শান্ত হয়ে বসে খাওয়া যায়। আবার অফিস থেকে রাতে বাড়ি ফিরে ধীরেসুস্থে খাওয়া যায়। তবে অফিসে থাকলে দুপুরের খাবারটা নাকেমুখে কোনো রকমে গুঁজতে হয়। অনেক সময় দুপুরের খাবার খেতে খেতে যেনো বিকাল পেরিয়ে যায়। এই অভ্যাস মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। সকাল ও রাতের মতো দুপুরে খাবারও ঘড়ি ধরে খাওয়াটা জরুরি।
একটু হাঁটাচলা করা
শুধু সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই ব্যায়াম বা হাঁটহাঁটি করলে কিন্তু চলবে না। দুপুরেও খাবার খাওয়ার পর একটু হাঁটাহাঁটি করাটা জরুরি। দুপুরে সাধারণত ভারি খাবারই খাওয়া হয়। ভাত বা রুটি, দুপুরের খাবারে যাই থাক খাওয়ার পরে ৫ মিনিটের জন্য হলেও হাঁটাহাঁটি করা একান্ত দরকার।
সামান্য ঘুম
অনেক সময় দেখা যায় অফিসে বসে ঘুমোচ্ছেন, এই দৃশ্য বিরল। তবে সুস্থ থাকতে নিজের জন্য এটুকু করাটা জরুরি। তার অর্থ এই নয় যে, কাজ ফেলে রেখে দীর্ঘক্ষণ ঘুমোতে হবে। তাছাড়া মাথায় চিন্তা থাকলে ঘুমও আসে না। ল্যাপটপ বন্ধ করে মাথা নিচু করে কিছুক্ষণ স্থির হয়ে বসতে পারেন। প্রয়োজন হলে একটি নির্দিষ্ট সময় পর অ্যালার্ম দিয়ে রাখতে পারেন। কিছুক্ষণ একটু সময় ঘুমিয়ে নিলে মন ও মস্তিষ্ক দু’টোই শান্ত হবে। আবার ভালো থাকবে শরীরও। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org