দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চীনের হাংঝৌ চিড়িয়াখানায় এক ভাল্লুককে ঘিরে রীতিমতো সরগরম পড়ে গেছে দেশটির সোশ্যাল মিডিয়ায়। ‘এনজেলা’ নামে ওই ভাল্লুকের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পরার পর থেকে চিড়িয়াখানাটিতে প্রায় ৩০ শতাংশ দর্শনার্থী বেড়েছে মাত্র একদিনে!
চীনের এক সংবাদ মাধ্যমে জানা যায়, চিড়িয়াখানাটিতে একদিনে প্রায় ২০ হাজারের অধিক দর্শনার্থী শুধু এই ‘এনজেলা’কে দেখতে ভিড় জমিয়েছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা যায় যে, ভাল্লুকটি তার খাঁচার কিংবা ঘেরে একদম কিনারায় সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তার কোমরের কাছে চামড়া এমনভাবে ভাঁজ হয়ে পড়েছে, যা দেখে অধিকাংশই ধারণা করছে ভাল্লুকটি আসলে নকল পোশাকরত চিড়িয়াখানার কোনো কর্মীই হবেন।
অস্বাভাবিকভাবে দাড়িঁয়ে থাকা ওই ভাল্লুকটিকে এক নজর দেখতে দেশটির বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শনার্থীরা ভিড় করছেন। চীনের হাংঝৌ টেলিভিশনে এক সাক্ষাৎকারে একজন দর্শনার্থী জানিয়েছেন, আমি ভিডিওটি দেখার পর রাতের দ্রুতগতির ট্রেনে এখানে চলে এসেছি। সত্যিকার অর্থে ভাল্লুকটি দেখতে আমার খুব সুন্দর লেগেছে। সত্যিকার অর্থে চোখে দেখতে এটি দেখতে কেমন লাগে তা দেখতেই আমার এখানে আসা।
দর্শনার্থীদের মধ্যে কেও কেও আবার বলছে যে, যদি সত্যিকারেই এটি নকল হয়ে থাকে তবে এতো চমৎকার অভিনয়ের জন্য একে অস্কার দেওয়া উচিত।
তবে সকল অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়ে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ বলেছে যে, একটি সরকারি চিড়িয়াখানায় কখনই এই ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারে না।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় একজন মানুষ কখনই ভাল্লুকের পোশাক পরে কয়েক মিনিটের বেশি টিকে থাকতে পারবে না।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org