দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ব্রাজিলের আমাজন রাজ্যে খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে পড়ে একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ১৪ জন নিহত হয়েছেন।
গতকাল শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) আমাজন রাজ্যের রাজধানী মানাউস হতে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরের বার্সেলস প্রদেশে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। খবর: রয়টার্স ও বিবিসি।
স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১২ জন যাত্রী এবং দুইজন ক্রুসহ বিমানে থাকা সকলেই নিহত হয়েছেন। এই দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু হয়েছে। শনাক্তকরণের জন্য নিহতদের মরদেহ আনুষ্ঠানিক মানাউসে নিয়ে যাওয়া হবে।
আমাজনের গভর্নর উইলসন লিমা মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে ( সাবেক টুইটার) বলেছেন যে, ‘শনিবার বার্সেলসে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে ১২ যাত্রী এবং দু’জন ক্রু নিহতের ঘটনায় গভীরভাবে শোক প্রকাশ করছি।’
অ্যামাজনাস রাজ্যের নিরাপত্তা সচিব ভিনিসিয়াস আলমেদা বলেছেন, প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে যে, ভারী বৃষ্টি এবং সামনে দেখা না যাওয়ায় বিমানটি বার্সেলোসে নামার সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে বেরিয়ে যাওয়ার পর বিধ্বস্ত হয়।
এয়ারলাইন কোম্পানি ‘দ্য মানাউস অ্যারোট্যাক্সি’ উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের তথ্য নিশ্চিত করলেও এই সম্পর্কে বিস্তারিত কিছুই জানায়নি।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org