দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যতো শক্তিশালিই হোন না কেনো বেকায়দায় পড়লে কুপোকাত হতে হয় অনেক সময়। আর তখন বড় ছোট বাছ বিচার থাকে না। এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে আফ্রিকার পশুরাজ সিংহের। পা পিছলে এক করুণ দশা হয়েছে তার!
এই সম্পর্কে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। আর ওই ভিডিওটি সম্ভবত তোলা হয়েছে কোনও চিড়িয়াখানায়। দেখা যাচ্ছে যে, একটি জলাধারের পাশে ঘুরতে বেরিয়েছে দুই আফ্রিকার সিংহ। একেবারে পানির ধার ঘেঁষেই হাঁটছিল দুই সিংহ।
এমনই আপনভোলা যে কোথায় পা পড়ছে, তার যেনো খেয়ালই নেই। যে কারণে যা হওয়ার তাই হলো। বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়ে একেবারে ‘পা পিছলে আলুর দম’ অবস্থা হলো পশুরাজ সিংহের। সোজা গিয়ে সে পড়লো পানিতে। এরপর হাবুডুবু খেতে হলো তাকে। অপমানের একেবারে শেষ প্রান্তে যাকে বলে।
পশুরাজ বলে না কথা। তার মান্যিগণ্যিই তো আলাদা। তার আতান্তরে পড়ার দৃশ্য মোটেও প্রকাশ্যে আসা উচিত নয়। তবে কোনও এক দুর্জন সেই সময়ের ভিডিও রেকর্ড করেছিল। সেই ভিডিও বর্তমানে ভাইরাল। পশুরাজের বিপদে পড়ার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে পুরো মনুষ্য জগতে।
ভিডিওটি সম্ভবত তোলা হয়েছে কোনও একটি চিড়িয়াখানা থেকে। দেখা যাচ্ছে যে, একটি জলাধারের পাশে ঘুরতে বেরিয়েছে আফ্রিকার দুই সিংহ। একেবারে পানির ধার ঘেঁষে হাঁটছিল দু’জন। আচমকা একজনের পা ফসকে সোজা পানিতে গিয়ে পড়ে পশুরাজ। তার বন্ধুকে দেখা যায় অবাক হয়ে তার সামনে গিয়ে দাঁড়াতে!
এই ভিডিওটি দেখেই মজা পেয়েছেন নেটিজেনরা। শিকার করে জীবনধারণ করা অভ্যাস্থ পশুরাজের এমন অবস্থা দেখে অবাক হয়েছেন অনেকেই! তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org