দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ‘র্যাম্প শো’- শব্দ দুটির সঙ্গে আলোর ঝলকানি, সাজ-পোশাক, সুরের তালে তাল মিলিয়ে নিত্যনতুন ডিজাইনের পোশাকে মডেলদের আনাগোনার কথায় মনে পড়ে। কিন্তু এবার বগুড়ায় হয়ে গেলো ব্যতিক্রমী এক গরুর র্যাম্প শো!
এবার কোনো নারী বা পুরুষ মডেল নয়, এবার এই শোতে র্যাম্পে হেঁটেছে বিশালাকার স্বাস্থ্যবান গরুরা। এ জন্যই সাজানোও হয়েছে গরুগুলোকে। ব্যতিক্রমী এই আয়োজন দেখতে গত শুক্রবার বগুড়ার ঠেঙ্গামারায় টিএমএসএস বিনোদন পার্কে হাজির হন কয়েকশ দর্শক।
বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএ) উদ্যোগে আয়োজন করা হয় উত্তরবঙ্গ গরু মেলা। ওইদিন দুপুর সাড়ে ১২টায় এই মেলা উদ্বোধন করেন বগুড়া -৬ (সদর) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য রাগেবুল আহসান রিপু।
মেলা প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, মাঠজুড়ে ছিল ব্রাহামা, শাহীওয়াল, আরসিসি, নর্থ বেঙ্গল গ্রে, সিজারিয়ান, ভুট্টীসহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন জাতের গরু। তবে ক্রেতা এবং দর্শনার্থীদের আকর্ষণের কেন্দ্রে ছিল ১ হাজার ৪০০ কেজি ওজনের অস্ট্রাল এক গরু। আমেরিকার টেক্সাসে জন্ম নেওয়া ব্রাহমা জাতের একটি ষাঁড় গরু আনেন বগুড়ার আর কে অ্যাগ্রোর রাহাত খান। দুই বছর আগে বিমানে গরুটি বগুড়ায় আনা হয়েছিলো। এই গরুর ওজন বর্তমানে এক টনের মতো। এছাড়াও ভারতের রাজস্থান থেকে আনা ক্যাংগ্রাস নামে গরুকে ঘিরে দর্শকদের আগ্রহ দেখা যায়। মিজান অ্যাগ্রো গরুটি নিয়ে আসে। তারা ৬টি গরু আনে।
এবারের এই মেলার বিশেষ আকর্ষণই ছিল গরুর র্যাম্প শো। বিকেল সাড়ে ৪টায় এই র্যাম্প শোর আয়োজন করা হয়েছিলো। চারিদিকে দর্শক, মাঝে বিশেষ একটি মঞ্চ। সেখানে র্যাম্পে হাঁটানো হয় গরুগুলোকে। এই সময় গরুর মালিকরা তাদের গরুর জাত, বয়স ও দাম সবাইকে জানিয়ে দেন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org