দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ টানা দুই মাস ধরে গাজায় আগাসন চালায়ে আসছে ইসরায়েল। সে কারণে অবরুদ্ধ উপত্যাকাটিতে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র মানবিক এক সংকট। সংকট এতোটাই প্রকট আকার ধারণ করেছে যে, অধিবাসীরা সামান্য একটি রুটির জন্য ভিক্ষা করতেও বাধ্য হচ্ছে।
এমনকি গাজায় পরিবারের সদস্যদের ক্ষুধা মেটাতে বাধ্য হয়ে গাধার মাংস খাওয়ার মতো ঘটনাও নাকি ঘটেছে। খবর রয়টার্সের।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চলমান সংঘাতের কারণে সামান্য একটি রুটির জন্যও অনেকেই ভিক্ষা করছে। স্বাভাবিকের চেয়ে ৫০ গুণ বেশি দাম দিয়ে একটি মটরশুটির কৌটা কেনার নজিরও সৃষ্টি হয়েছে। পরিবারের খাবারের জোগান দিতে গাধা জবাই করে খাওয়ানোর কথাও জানিয়েছেন অবরুদ্ধ গাজার অধিবাসীরা!
ইসরায়েলের অবিরাম হামলার কারণে খাদ্য সহায়তার ট্রাকগুলো ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের বেশিরভাগ অংশেই পৌঁছাতেই পারছে না। রাফা সীমান্তের কাছাকাছি সামান্য কিছু খাদ্য সহায়তা দেওয়া হলেও বেশিরভাগ গাড়িবহরের চলাচল ও ক্ষুধার্ত মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছেই না।
জাতিসংঘের মানবিক কার্যালয় (ওসিএইচএ) বৃহস্পতিবার বলেছে যে, মিসরের সীমান্তের কাছে রাফাহ এলাকায় খুবই সীমিত সাহায্য বিতরণ করা হচ্ছে। সেখানে গাজার মোট ২৩ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে প্রায় অর্ধেকই এখন বসবাস করছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর হতে টানা ২ মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজায় আগ্রাসন চালিয়ে আসছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলের হামলায় ইতিমধ্যেই নিহতের সংখ্য ১৮ হাজার ৬০০ জন ছাড়িয়ে গেছে। নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ৭০ শতাংশই হলো নারী এবং শিশু।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org