দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পুলিশ দম্পতি হত্যাকাণ্ডের অপর আসামী জনির রিমাণ্ড আজ শেষ হচ্ছে। রিমাণ্ডে এসে জনি সব দোষ ঐশীর ওপর চাপানোর চেষ্টা করেছে।
আসাদুজ্জামান ওরফে জনির ৫ দিনের রিমান্ডে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সে দাবি করেছে, ঐশী নিজ থেকেই অন্ধকার জগতে প্রবেশ করেছিল। তার প্রয়োজনের তাগিদেই মাদক গ্রহণ ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়েছিল। তবে জনির এই বক্তব্য বিশ্বাস করেননি তদন্তকারী গোয়েন্দা পুলিশ কর্মকর্তারা। প্রকৃত তথ্য আদায়ের জন্য আজ আবারও জনিকে আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করবেন তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।
তদন্তকারী একজন কর্মকর্তা সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, জনি ধুরন্ধর প্রকৃতির। একেক সময় একেক রকম তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। তবে পুলিশ দম্পতি হত্যাকাণ্ডে জড়িত ঐশীর বিপথগামী হওয়ার নেপথ্যে তার (জনি) সংশ্লিষ্টতার তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে। তার প্ররোচনাতেই ঐশী মাদকাসক্ত ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছিল। জনির প্রলোভনে পড়েই বাসার বাইরে ১৫ দিন নিখোঁজ ছিল। ওই সময় তাকে গার্লফ্রেন্ড আইরিনের পাশের রুমে থাকতে দিয়েছিল জনি। পরে সুযোগ-বুঝে দুবাই পাচারের পরিকল্পনা করেছিল। জনির প্ররোচনাতেই তার প্রথম স্ত্রী দুবাই গিয়েছিল। সেখানে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে বাধ্য করায় দেশে ফিরে আসে। একপর্যায়ে জনিকে ডিভোর্স দিয়ে অন্যত্র বিয়ে করে। এরপর আইরিনের সঙ্গে লিভ টুগেদার শুরু করে জনি। তার উপার্জনের টাকা দিয়েই বাড়ি ভাড়া, খাওয়া ও মাদক সেবন করছিল। একই সঙ্গে ঐশীকে হাত করে তার উপার্জনের টাকায় ভাগ বসিয়েছিল এই জনি। কমিশন নিয়েছে আরও ডজনখানেক তরুণীর কাছ থেকে। পুলিশ অনেক কিছু জানলেও জনি এতোই ধুরন্ধর যে পুলিশকে নানা ধরনের ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। তবে পুলিশের ধারণা আরও রিমাণ্ডে আনলে সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে তার কাছ থেকে।
উল্লেখ্য, ১৬ আগস্ট রাজধানীর চামেলীবাগের বাসায় খুন হন পুলিশ দম্পতি মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমান।