দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যে ছবিটি আপনারা দেখছেন সেটি দেশের জনপ্রিয় একজন অভিনেত্রীর ছোটবেলার ছবি। আপনি কী বলতে পারবেন এটি কোন অভিনেত্রীর ছবি?
ছবির এই আদুরে শিশুটিকে আপনি কী চিনতে পেরেছেন? তিনি বাংলাদেশের বর্তমান সময়ে ছোটপর্দার জনপ্রিয় একজন অভিনেত্রী। কদিন পরেই বড়পর্দায় মুক্তি পেতে যাচ্ছে তার অভিনীত প্রথম সিনেমা! যদিও গত ১৪ বছর ধরে ছোটপর্দায় দারুণ দারুণ নাটক উপহার দিয়েছেন তিনি! বর্তমানে ওটিটিতেও বাজিমাত করছেন সমানভাবে!
এই শিশুটি কিন্তু আর কেও নন, ছোটপর্দার শীর্ষ অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী! শনিবার দুপুরে ছবিটি নিজেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেন মেহজাবীন চৌধুরী।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ছোট্ট মেহজাবীন ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। তিনি ধরে রয়েছেন ছোটদের খেলনা গাড়ি। তার পরনে লাল ফ্রক, কপালের উপরে পড়ে রয়েছে চুল। ক্যাপশনে মেহজাবীন লিখেছেন যে, ‘মাই ফার্স্ট রাইড’! সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন গাড়ির একটি ইমোজি।
ছবির এই পোস্টটি শেয়ার করার মাত্র ৩ ঘণ্টায় মেহজাবীনের পেজ থেকেই দেখা গেছে হাজার হাজার লাইক কমেন্ট পড়েছে। মন্তব্য করেছেন হাজারের বেশি মানুষ। যে মন্তব্যগুলো আসলে মেহজাবীনের প্রশংসার ফুলঝুরি! আবার অনেকেই জানতে চেয়েছেন, ছবিটি কতো সালের তোলা!
দীর্ঘদিনের ক্যারিয়ার হলেও প্রথমবার সিনেমা নিয়ে সিরিয়াস হন লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার খ্যাত এই তারকা। নিজের অভিনীত প্রথম সিনেমার নাম ‘সাবা’। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে পোস্টার প্রকাশ করে সিনেমাটির ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন মাকসুদ হোসেন। ২০২৩ সালে হয় শুটিং।
সম্প্রতি আরেকটি ছবির ঘোষণাও দিয়েছেন মেহজাবীন। এ মাসে নিজের জন্মদিনে দেওয়া নতুন এই ছবিটির নাম হলো ‘প্রিয় মালতী’। শঙ্খ দাশগুপ্তের পরিচালনায় সিনেমাটি শীঘ্রই বড়পর্দায় মুক্তির কথা।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org