দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রিজভী ওয়াহিদ- যাকে বাংলা আধুনিক গানে প্রেমের গানের শিল্পী বলা যায়। একাধিক দ্বৈত গানেও তাকে দেখা গেছে। সেইসব গানগুলো দারুণ জনপ্রিয়তাও পেয়েছে।
বাংলাদেশসহ কলকাতার একাধিক কণ্ঠশিল্পীর সঙ্গে রিজভী ওয়াহিদের গান মুক্তি পেয়েছে ইতিমধ্যেই। এ সম্পর্কে রিজভী একটি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘প্রেমের গানটা মূলত শ্বাশত। দেখুন আমরা ভালোবাসাটাই ছড়াতে চাই। তাই আমি মনে করি যে, প্রেম-বিরহের মেলোডিটা চিরকাল থেকেই যাবে। আমি আমার বাবার প্রজন্মেও দেখেছি, ঘুরে ফিরে তারা প্রেমের গানের শ্রোতা হয়েই জীবনটা কাটিয়েছেন। শ্রোতা হিসেবে আমার মিষ্টি প্রেমের দ্বৈত গান শুনতেও বেশ ভালো লাগে।’
উল্লেখ্য যে, দীর্ঘদিন ধরেই নতুন গানে অনুপস্থিত রয়েছেন কণ্ঠশিল্পী রিজভী ওয়াহিদ। সর্বশেষ ধ্রুব মিউজিকের ব্যানারে তার নতুন গান রিলিজ পায়। রিজভী ওয়াহিদ বলেন, ‘আমার শিল্পী জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তিই হলো কিংবদন্তি সংগীত পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের স্নেহ সান্নিধ্য পাওয়া। তিনি আমার জন্যই বেশ কিছু সুর করে গেছেন। যা এখনও আনরিলিজ। সেগুলোও মুক্তি দেবো।’
তবে এই গানগুলোও দ্বৈত হবে কিনা এমন প্রশ্নে রিজভী বলেছেন, ‘সবগুলোই যে দ্বৈত হবে এমন কোনো কথা নেই। তবে কিছু দ্বৈত গান করার ইচ্ছেও রয়েছে।’ শুভমিতা, লগ্নজিতা থেকে শুরু করে বাংলাদেশের একাধিক শিল্পীর সঙ্গে ডুয়েট গেয়েছেন রিজভী ওয়াহিদ। নতুন কার সঙ্গে রিজভী ডুয়েট গানের প্ল্যান করছেন এমন প্রশ্নে বলেন, ‘ইচ্ছে রয়েছে শ্রেয়া ঘোষালের সঙ্গে একটি ডুয়েট গাইবার। আশা করছি একটা দারুণ ট্র্যাকে প্রিয় শিল্পীর সঙ্গে একটি গান প্রকাশ করতে পারবো। এখন দেখা যাক।’ উপমহাদেশের প্রখ্যাত এই শিল্পীর সঙ্গে অফিশিয়ালি যোগাযোগের চেষ্টাও চলছে। খুব শীঘ্রই সেটি সম্পন্ন হলে গানটি প্রকাশ করবেন বলেও জানালেন কণ্ঠশিল্পী রিজভী ওয়াহিদ।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org