দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশ থেকে দ্বিতীয়বারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় মহাকাশ সংস্থা নাসার আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত নাসার হেডকোয়ার্টারে বিভিন্ন প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেন ২০২২ সালে নাসা কর্তৃক আয়োজিত নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের বাংলাদেশ হতে বিশ্বজয়ী দল ‘টিম ডায়মন্ডস’।
বেসিসের তত্বাবধানে ও বেসিস স্টুডেন্টস ফোরামের সহযোগিতায় প্রতিবছর নাসা কর্তৃক আয়োজিত নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশে আয়োজিত হয়। নাসার সদর দপ্তরে অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন নাসার অ্যাসিস্ট্যান্ট চীফ সাইন্টিস্ট ফর এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড অ্যাপ্লায়েড রিসার্চ মমতা প্যাটেল নাগরাজা।
২০২২ সালে ‘মোস্ট ইন্সপাইরেশনাল’ ক্যাটেগরিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দল ‘টিম ডায়মন্ডস -এর সদস্যরা হলেন- তিষা খন্দকার (দলনেতা), মুনিম আহমেদ, ইঞ্জামামুল হক সনেট, আবু নিয়াজ ও জারিন চৌধুরী।
টিম ডায়মন্ডস-এর প্রকল্প ‘ডায়মন্ড ইন দ্য স্কাই’ একটি ইন্টারেক্টিভ লার্নিং গেম, যা বাচ্চাদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এই গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে বাচ্চারা নক্ষত্রসমূহের পরিবর্তন (রঙের পরিবর্তন, উজ্জ্বলতা, ভরের পরিবর্তন), এর পেছনে লুকিয়ে থাকা কারণগুলো সম্পর্কে জানতে পারবে। গেমটি খেলার মাধ্যমে বাচ্চারা তাদের নিজস্ব নক্ষত্র তৈরি থেকে শুরু করে নক্ষত্রগুলোর প্যাটার্ন, রঙের পরিবর্তন, উজ্জ্বলতা, ভরের পরিবর্তন প্রেডিক্ট করতে পারবে।
অনুষ্টানে অংশগ্রহণ নিয়ে টিম ডায়মন্ডস-এর দলনেতা তিষা খন্দকার বলেন, “ওয়াশিংটন ডিসিতে নাসার হেডকোয়ার্টারে জুনের ৫-৬ তারিখ নাসার প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের জন্য আমাদেরকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এইটা মূলত ছিল বিভিন্ন বছরের বিজয়ীদের নিয়ে উদযাপনের একটি অনুষ্ঠান। নাসাতে দুই দিনের প্রোগ্রামে বিভিন্ন ধরনের নেটওয়ার্কিং এবং ভবিষ্যতে তাদের সাথে একত্রে কাজ করার বিভিন্ন দিক এছাড়াও নাসার বিজ্ঞানীদের দিকনির্দেশনামূলক আলোচনায় আমরা অংশগ্রহণ করি।”
এবিষয়ে বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, বেসিস বিগত ১০ বছর ধরে নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশে আয়োজন করছে। নাসা অ্যাপস চ্যালেঞ্জ এর বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন খেতাব অর্জন নিঃসন্দেহে বড় অর্জন। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় মহাকাশ সংস্থা নাসার আমন্ত্রণে নাসার প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করায় আমি টিম ডায়মন্ডস-এর সকল সদস্যকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিশেষ করে নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশ ২০২২ এর আহবায়ক তানভীর হোসেন খান, নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের উপদেষ্টা আরিফুল হাসান অপু, উপদেষ্টা মাহদী- উজ-জামান এবং প্রকল্প সমন্বয়কদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, নাসা ইন্টারন্যাশনাল স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২৩-এর বেস্ট স্টোরিটেলিং ক্যাটাগরিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশের ‘টিম ভয়েজার্স’। এ নিয়ে এই প্রতিযোগিতায় টানা তিনবার এবং সর্বমোট চতুর্থবারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হলো বাংলাদেশ। আগামী ২০২৫ সালে ‘টিম ভয়েজার্স’ নাসার হেডকোয়ার্টারে অনুষ্ঠিত এই একই প্রোগ্রামে অংশ্রগ্রহণ করবে। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org