দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সম্প্রতি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচই এ স্ট্রিমিং হয়েছে নতুন ওয়েব সিরিজ ‘বিজয়া’। এই সিরিজে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন কলকাতার তারকা অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি। এই সিরিজটি আলোচনা শুরু হয়েছে বেশ জোরে-সোরেই।
মূলত ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা, র্যাগিং ও এক মায়ের লড়াইয়ের গল্পই উঠে এসেছে এই সিরিজটিতে। যেখানে মায়ের ভূমিকায় নিজেকে ছাপিয়ে গেছেন কলকাতার এই অভিনেত্রী।
‘বিজয়া’র গল্প আবর্তিত হয়েছে নীলাঞ্জন বসু ও তার মা বিজয়া বসুকে কেন্দ্র করেই। নৈহাটির ছাপোষা মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে নীলাঞ্জন। সে কখনও চায় না কলকাতায় গিয়ে পড়াশোনা করতে। তবে মায়ের স্বপ্ন ও জেদের কাছে বাধ্য হয় সে। তবে কলেজে যাওয়ার মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই বাড়িতে তার গুরুতর আহত হওয়ার ও ৩ তলা থেকে পড়ে যাওয়ার খবর আসে। যাকে সুইসাইড কেস বলে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তবে সেই সাধারণ সুইসাইডের কেস থেকে একজন মা কী করে আসল সত্যি ও অপরাধীদের বের করে আনে সেটিই ফুটে উঠেছে এই সিরিজে।
স্বস্তিকা মুখার্জিকে এর আগেও বহুবার মায়ের চরিত্রে দেখা গেছে। তবে এবার যেনো তিনি নিজেই নিজেকে ছাপিয়ে গিয়েছেন। মায়ের মমতা, সারল্যের সঙ্গে দুর্দমনীয় প্রতিবাদ, প্রতিরোধ ও কান্নায় ভেঙে পড়াকে ভীষণ নৈপুণ্যের সঙ্গে তুলে ধরেছেন এই সিরিজটিতে।
অপরদিকে নীলাঞ্জন ও অহনের চরিত্রে থাকা দেবদত্ত রাহা ও জিৎ সুন্দর দু’জনেই অনবদ্য অভিনয়। নিজেদের চরিত্রকে ভীষণ ভালো করে পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছেন। তাছাড়াও ক্ষমতাসম্পন্ন শিক্ষার ব্যবসায়ীর চরিত্রটিকেও যথাযথভাবেই ফুটিয়ে তুলেছেন সাহেব চট্টোপাধ্যায়।
২০২৩ সালে যাদবপুরের ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার রহস্যজনক মৃত্যুর স্মৃতি আজও বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়-পরিজনদের মনে পড়ে। পড়তে গিয়ে বয়েজ হোস্টেলে ভয়ানক ব়্যাগিংয়ের শিকার হয়ে তাঁর মৃত্যু ঘটে বলে অভিযোগ। সেই ঘটনাটির চিত্রই বিজয়া সিরিজের গল্পের কাঠামো করা হয়েছে। মোট ৭ পর্বের এই সিরিজটি মুক্তি পেয়েছে। তথ্যসূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস বাংলা।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org