দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)-এর চার সদস্য কোম্পানি এশিয়া স্মার্ট অ্যাপ অ্যাওয়ার্ডস ২০২৪-এর বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে।
হংকংয়ের নিউ ওয়ার্ল্ড মিলেনিয়াম হোটেলে অনুষ্ঠিত এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে হংকং ওয়্যারলেস টেকনোলজি ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (ডব্লিউটিআইএ)।
কোম্পানি ৪টি হলোঃ স্কাইলার্ক সফট লিমিটেড, স্কোয়াড ইনোভেটরস, স্বাধীন মিউজিক লিমিটেড এবং সিট্রেন্ডস সফটওয়্যার অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড।
স্কাইলার্ক সফট লিমিটেড, বিজনেস অ্যান্ড কমার্শিয়াল ক্যাটাগরিতে উদ্ভাবনী পণ্য প্রো ট্র্যাকার এর জন্য পুরস্কৃত হয়েছে। একটি রিয়েল-টাইম গার্মেন্ট প্রোডাকশন ট্র্যাকিং অ্যাপ্লিকেশন, যা উৎপাদন শিল্পে বিপ্লব ঘটিয়েছে। স্কোয়াড ইনোভেটরস, লাইফস্টাইল অ্যান্ড এন্টারটেইনমেন্ট ক্যাটাগরিতে ডে প্ল্যানিং এর জন্য অ্যাওয়ার্ডটি পেয়েছে। এটি একটি স্মার্ট অ্যাপ যা দৈনন্দিন সময়সূচি ও উৎপাদনশীলতা উন্নত করতে ডিজাইন করা হয়েছে, যা ব্যবহারকারীদের সময় ব্যবস্থাপনা সহজ করে।
স্বাধীন মিউজিক লিমিটেড, লাইফস্টাইল অ্যান্ড এন্টারটেইনমেন্ট ক্যাটাগরিতে মিউজিক এর জন্য স্বীকৃত হয়েছে। এটি একটি মিউজিক স্ট্রিমিং অ্যাপ্লিকেশন যা বিস্তৃত এবং বৈচিত্র্যময় সঙ্গীত বিষয়বস্তু প্রদান করে, বিভিন্ন সংগীত প্রেমী রুচিশীল মানুষদের জন্য। সিট্রেন্ডস সফটওয়্যার অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড, পাবলিক সেক্টর অ্যান্ড সোশ্যাল ইনোভেশন ক্যাটাগরিতে দ্য সিটিজেন এর জন্য অ্যাওয়ার্ডটি পেয়েছে। এটি একটি অ্যাপ যা জনসেবা ও সামাজিক উদ্ভাবনকে উন্নত করতে ব্যবহারকারী বান্ধব প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে।
পুরস্কার ঘোষণার পূর্বে, বেসিসের সাবেক পরিচালক এবং এশিয়া স্মার্ট অ্যাপ অ্যাওয়ার্ডস ২০২৪-এর আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক বিচারক তানভীর হোসেন খান একটি প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। তিনি বলেন, “”এশিয়ান স্মার্ট অ্যাপ অ্যাওয়ার্ড ২০২৪-এ বিচারক হিসেবে বেসিস এবং বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে আমি অত্যন্ত গর্বিত। আমাদের সদস্য কোম্পানিগুলোর চারটি বিভাগে পুরস্কৃত হওয়া বাংলাদেশের প্রযুক্তি শিল্পের ক্রমবর্ধমান দক্ষতা এবং বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার প্রমাণ।”
তিনি আরও বলেন, “বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি, আমি ‘ব্রিজিং দ্য ডিজিটাল ডিভাইড অ্যান্ড এক্সেলারেটিং আইসিটি অ্যাডভান্সমেন্ট ইন এশিয়া’ শীর্ষক একটি প্যানেলে অংশ নিয়েছিলাম। এই সেশনে, আমি বিভিন্ন ক্ষেত্রে নীতি উন্নয়নের গুরুত্ব, নিয়ন্ত্রক চ্যালেঞ্জগুলি কাটিয়ে ওঠা এবং একটি ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার জন্য বাধাগুলি মোকাবেলা করার উপর গুরুত্ব দিয়েছিলাম যেখানে এআর/ভিআর, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ব্লকচেইন এবং সাইবার নিরাপত্তার মতো প্রযুক্তিগুলি উন্নতি করতে পারে৷ বিশেষ করে সরকারী সচেতনতা কার্যক্রম শুরু করা, গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য ট্যাক্স ক্রেডিট অফার করা, ফ্রন্টিয়ার টেক স্টার্টআপ/এসএমইগুলির জন্য ট্যাক্স প্রণোদনা প্রদান এবং পলিসি উন্নয়নে সরকারি-বেসরকারি-একাডেমিয়া সহযোগিতা নিশ্চিত করা সহ কিছু উদ্যোগ নেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।” এ বিষয়ে বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, “”আমাদের সদস্য কোম্পানিগুলোর অসাধারণ এই অর্জনের জন্য আমরা অত্যন্ত গর্বিত। এই স্বীকৃতি আমাদের প্রযুক্তি শিল্পের উদ্ভাবন, নিষ্ঠা এবং দক্ষতার প্রমাণ, যা বৈশ্বিক পর্যায়ে আরও উজ্জ্বলভাবে প্রকাশিত হচ্ছে। এই সাফল্য বাংলাদেশের সফটওয়্যার ও আইটি সেবা খাতের শক্তি এবং ভবিষ্যৎ উদ্ভাবনের মাইলফলক স্থাপন করছে। বেসিস প্রতিভাবান ডেভেলপারদের সহায়তা করতে সবসময়ই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যারা তাদের দক্ষতা দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থানকে বিশ্বব্যাপী উন্নত করছে। এই পুরস্কারগুলো আমাদের ক্রমবর্ধমান সক্ষমতা এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিকভাবে ডিজিটাল রূপান্তরের ক্ষেত্রে আমাদের প্রভাবকে প্রতিফলিত করে।”
উল্লেখ্য, এশিয়া স্মার্ট অ্যাপ অ্যাওয়ার্ডস এশিয়ার বিভিন্ন দেশের স্মার্ট অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপারদের উদ্ভাবন ও প্রযুক্তিগত দক্ষতাকে স্বীকৃতি প্রদান করে। এশিয়া স্মার্ট অ্যাপ অ্যাওয়ার্ডে বেসিসের এই অংশগ্রহণ দেশের প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং উদ্ভাবনী ক্ষমতাকে আন্তর্জাতিক স্তরে সমর্থন ও প্রচার করার অঙ্গীকারের প্রতিফলন। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org