দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নতুন প্রজন্মের কাছে ভিষণ জনপ্রিয় মুখ এম আসিফ রহমান। ওয়ার্ডপ্রেস নিয়ে কাজ করে নিজের ব্যবসাকে বড় করার মাধ্যমে বাংলাদেশের রপ্তানিতে যেমন বিশেষ ভূমিকা রাখছেন, ঠিক তেমনি নতুন উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা করার এক বিশাল অভিজ্ঞতাও রয়েছে এম আসিফ রহমানের। দেশের আইসিটি ইন্ডাস্ট্রিতে খুব কম সময়ের মধ্যে এম আসিফ রহমান নতুন উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি অনেক অভিজ্ঞ ও ইন্ডাস্ট্রি ভেটারানদের কাছেও প্রিয়ভাজন হয়ে উঠেছেন। যা এই ইন্ডাস্ট্রির জন্য মাইলফলক বলা যায়।
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে আইসিটি ইন্ডাস্ট্রি ও বেসিস একে অপরের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। অভিজ্ঞতা ও তারুন্যের সমন্বয় গঠিত এবারের বেসিস নির্বাচনে ONE Team সবচাইতে বড় একটি শক্তি। এই ওয়ান টিমের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব এম আসিফ রহমান।
এবারের বেসিস নির্বাচন ও বর্তমান আইটি খাত সম্পর্কে এম আসিফ রহমান বলেন, ইন্টারনেটের এই যুগে বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ব্যবসার প্রচুর সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। দেশীয় সফওয়্যার ব্যবহারে প্রাধান্য দেওয়া, রফতানি আয় বাড়ানো, বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হলে বেসিসকে আরও শক্তিশালী করার কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, প্রযুক্তি ব্যবসাখাতে বেশ কয়েকটি সমস্যাও রয়েছে। এই সমস্যাগুলো সমাধান না করলে সংগঠনটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যপথে এগিয়ে যেতে পারবে না। আমার কোম্পানি লোকাল মার্কেটে কাজ করেনা, সেটার কারণ হলো ব্যবসায়িক। বেসিসে নির্বাচন করার আমার ব্যবসায়িক কোনো উদ্দেশ্যও নেই এবং সেটি সম্ভবও নয়, আমার মূলত এই দেশের আইটি কমিউনিটির প্রতি ভালোবাসা ও সবার কাছ থেকে শেখার তুমুল আগ্রহ রয়েছে। আমি মনে করি যে, নলেজ শেয়ারিং এর মাধ্যমে, সবাই একসঙ্গে দেশের আইসিটি ব্যবসাকে খুব সহজেই পরের ধাপে নিয়ে যাওয়া যাবে।
এম আসিফ রহমান আরও বলেন, দীর্ঘ ২০ বছর এই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করে যাচ্ছি, নিজের একাধিক কোম্পানিকে বিশ্বদরবারে সম্মানের কাতারে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছি সবার দোয়া ও ভালোবাসায়। আমি কাজ করেছি দেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম তৈরিতে এবং তরুণ আইসিটি উদ্যোক্তাদের নিয়ে কাজ করেছি প্রথম দিন থেকেই। আমার এই কাজের পরিধিকে আরও বৃহত্তর ক্ষেত্রে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষেই এবার আমার বেসিস নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা।
বিদেশে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিংয়ে কি ধরনের কাজ করবেন সেটি জানিয়ে এই আইটি উদ্দ্যোক্তা বলেছেন, কান্ট্রি ব্রান্ডিংই হবে এবার আমার সবচেয়ে বড় মিশনগুলোর একটি। নিজের ব্যবসায়ের কাজে আমাকে গেল ২০ বছরে প্রচুর ট্রাভেল করতে হয়েছে এবং অরগানাইজ করতে হয়েছে প্রচুর ইভেন্ট, এক্টিভেশন। মন খারাপ লাগতো এটা দেখে যে, যেখানে প্রতিবেশি দেশগুলোর অনেক কোম্পানি অংশগ্রহণ করেছ সেখানে বাংলাদেশী কোম্পানি একদমই হাতে গোনা কয়েকটি। আমি সবাইকে সাথে নিয়েই একবারে দেশের ঝান্ডা, বেসিসের পতাকা পুরো বিশ্বে বয়ে বেড়াতে চাই, বাংলাদেশকে একটি ‘আইটি হাব’ হিসেবে পরিচিতি করতে চাই। আমি বেসিসে এক্সপোর্ট রিলেটেড হেল্প ডেস্ক বসাতে চাই । আমি কোলাবোরেটিভ গ্রোথে বিশ্বাসী। আমি সবাইকে সাথে নিয়ে এক জোটে গ্লোবাল মার্কেটে কাজ করতে চাই।
বেসিস নির্বাচনে ওয়ান টিমে ওরা ১১ জন:
বেসিসের বর্তমান সভাপতি রাসেল টি আহমেদের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ওয়ান টিম প্যানেল। এই প্যানেলের অন্য প্রার্থীরা হচ্ছেন জেনারেল ক্যাটাগরিতে এম আসিফ রহমান, উত্তম কুমার পাল, দিদারুল আলম, রাশিদুল হাসান, এ কে এম আহমেদুল ইসলাম, ইকবাল আহমেদ ফখরুল হাসান, কে এ এম রাশেদুল মজিদ এবং সৈয়দ আবদুল্লাহ জায়েদ (অ্যাসোসিয়েট), বিপ্লব ঘোষ (অ্যাফিলিয়েট) এবং সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল (আন্তর্জাতিক)।
উল্লেখ্য, আগামী ৮ মে সকাল ১০টা হতে বিকেল ৫টা পর্যন্ত রাজধানীর গুলশান শুটিং ক্লাব-এ বেসিস নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলবে। বেসিসের এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ১৪৬৪ জন। তাদের মধ্যে জেনারেল ক্যাটাগরিতে ভোটার ৯৩২, অ্যাসোসিয়েট ক্যাটাগরিতে ভোটার ৩৮৯, অ্যাফিলিয়েট ক্যাটাগরিতে ভোটার ১৩৪ এবং আন্তর্জাতিক ক্যাটাগরিতে ভোটার ৯ জন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org