দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) এবং জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)-এর সাথে বাংলাদেশের আইটি ইঞ্জিনিয়ারদের দক্ষতা বাড়াতে যৌথভাবে ‘জাইকা-বিসিসি-বেসিস: কারিগরি সহযোগিতা প্রকল্প (টিসিপি)’ নামে একটি মাইলফলক প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
এই প্রযুক্তিগত সহযোগিতা প্রকল্পের মেয়াদ হবে ৪২ মাস, যা বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পকে এগিয়ে নিতে মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য একটি টেকসই কাঠামো তৈরি করবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে শিল্প বিশেষজ্ঞ, সরকার এবং একাডেমিয়াদের সহযোগিতায় বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তিতে প্রকৌশলী উন্নয়নে এবং প্রকৌশল দক্ষতা বাড়াতে বিভিন্ন ধরনের উচ্চ পর্যায়ের প্রশিক্ষণ কোর্সের ব্যবস্থা করা হবে। পরবর্তীকালে, এটি প্রাইভেট কোম্পানি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে অংশীদারিত্বে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ কোর্স তৈরি এবং বাস্তবায়ন করবে।
এই প্রকল্পে জাপানি শিল্প-অ্যাকাডেমিয়া সহযোগিতামূলক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির অধীনে নিম্নলিখিত নয়টি কোর্সের ব্যাপারে আলোকপাত করা হয়েছে।এগুলি হল: আর্কিটেকচার, ফর্মাল স্পেসিফিকেশন, ক্লাউড, টেস্টিং এবং ভেরিফিকেশন, এজাইল, রিকোয়ারমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং, সিকিউরিটি, ডেটা সায়েন্স এবং ডেটা-ড্রাইভেন সোসাইটি এবং রেগুলেশন।
এ প্রসঙ্গে শনিবার, বেসিসের সভাপতি রাসেল টি আহমেদের সভাপতিত্বে বেসিসে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বেসিসের পরিচালক ও বেসিস জাপান ডেস্কের চেয়ারম্যান একেএম আহমেদুল ইসলাম বাবু, জাইকা বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ আকিহিরো শোজি, ইঞ্জিনিয়ার গোলাম সারওয়ার, পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন) বিসিসি এবং বেসিসের অন্যান্য সদস্য ও জাপান ডেস্ক সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, “বেসিস এই প্রকল্পের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হবে এবং প্রকল্পটি সফলভাবে বাস্তবায়ন করবে। বেসিস এই ধরনের বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সবসময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের চাহিদা এবং দক্ষ মানব সম্পদের মধ্যে যে ব্যবধান আছে তা পূরণ করে, আমরা বাংলাদেশে প্রযুক্তিগত অগ্রগতির জন্য একটি টেকসই এবং সমৃদ্ধ ইকোসিস্টেম তৈরি করার লক্ষ্যে সবসময়ই কাজ করে যাচ্ছি।”
একেএম আহমেদুল ইসলাম বাবু বলেন, “এই প্রকল্পটি বিশেষ করে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের জন্য এবং বেসিস সদস্যরা এই প্রকল্পের মাধ্যমে উপকৃত হবেন। প্রকল্পের উদ্দেশ্য হল বেসিসের সদস্য কোম্পানিগুলির সাথে উচ্চ-মধ্যম থেকে উচ্চ-স্তরের তথ্যপ্রযুক্তি ইঞ্জিনিয়ারদের দক্ষতা বৃদ্ধি করা।”
আকিহিরো শোজি বলেন, “প্রকল্পটি বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের সমৃদ্ধিকে উত্সাহিত করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে আমি মনে করি।
প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের বৃহত্তর দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।” ইঞ্জিনিয়ার গোলাম সারওয়ার বলেন, “তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের উন্নয়নে সরকার সবসময়ই প্রাইভেট সেক্টরের সাথে ওতপ্রোতভাবে কাজ করে আসছে। তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে দক্ষ প্রকৌশলীর চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সেই চাহিদা পূরণের লক্ষ্যেই এই ধরনের প্রকল্প নিয়ে সরকার কাজ করছে।” খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org