দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বলিউড অভিনেত্রী আলিয়া ভাট এক বিরল অসুখে ভুগছেন। শুনে চমকে গেলেও সত্যিই তিনি ভালো নেই। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই অসুখ সম্পর্কে মুখ খোলেন অভিনেত্রী, জানান তার সমস্যার কথা।
তিনি জানিয়েছেন যে, আলিয়া এই অসুখে আক্রান্ত হন সেই ছোট থেকেই। এই অসুখটির নাম ‘অ্যাটেনশন ডেফিসিট ডিসঅর্ডার’। এই অসুখের উপসর্গ কেমন এবং কীভাবে তাকে ভুগতে হয়, সেই বিষয়েও খোলাসা করেছেন আলিয়া।
তিনি বলেছেন, ‘এমন কিছু কাজ আছে যা আপনার মনে হবে আপনি সেটি খুব দ্রুতই শেষ করতে পারবেন। আমার এডিডি রয়েছে। তাই কোনো কাজে খুব বেশি সময় দিয়েও উঠতে পারি না। যে কারণে এমন কাজ করতে হয়, যা দ্রুতই করা যায়।’
এই অসুখের কারণেই বিয়ের দিনও আলিয়া তার মেকআপ আর্টিস্টকে খুব কড়া ভাষায় কথা বলেছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এই অভিনেত্রীর কথায়, ‘আমার বিয়ের দিন, আমার মেকআপ আর্টিস্ট বলেছিলেন যে, আলিয়া, এবার তোমার আমাকে দুই ঘণ্টা সময় কিন্তু দিতেই হবে। আমি ওকে বলি, তাহলে আপনি কাজটাই হারাবেন। আমার বিয়ের দিন, আমি আপনাকে কখনও দুই ঘণ্টা সময় দেবো না, কারণ হলো আমি আমার বিয়েটা উপভোগ করতে চাই।’
আলিয়া ভাট কারও সঙ্গে সাধারণত উগ্র ব্যবহার করেন না বলেই চলে, অন্তত বলিউডের ভেতর থেকে এমনই খবর। বর্তমানে তিনি ‘জিগরা’ ছবির কাজ নিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন। হাতে একের পর এক কাজ রয়েছে আলিয়া ভাটের। এরই মধ্যে মেয়েকেও দিতে হচ্ছে অনেকটা সময়। তাই নিজের জন্য বিন্দুমাত্র সময় নেই বলেও দাবি করেছেন বলিউডের এই ব্যস্ততম অভিনেত্রী আলিয়া ভাট।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org