দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঢাকাই চলচ্চিত্রের বর্তমান সময়ের প্রথম সারির নায়িকা শবনম বুবলী এবার নতুন এক সাজ অর্থাৎ পরীর সাজে ধরা দিলেন।
শবনম বুবলী প্রথমে টেলিভিশনে সংবাদ পাঠিকা হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করলেও পরবর্তী সময় সিনেমাতে অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকমহলে ব্যাপক আলোচিত নায়িকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন। তারপর নিজের অভিনয় দক্ষতার মাধ্যমে ভক্ত-অনুরাগীদের মধ্যে প্রশংসিত হন। অভিনয়ের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সরব শবনম বুবলী। বিভিন্ন সময় অনুরাগীদের মাঝে নিজের ভালো লাগার মুহূর্তগুলো ভাগ করে নেন এই অভিনেত্রী। সম্প্রতি ফেসবুকে ভক্তদের মধ্যে কিছু ছবিও শেয়ার করেছেন। যেখানে তাকে পরীর বেশে এবং বেশ হাসিখুশি হিসেবে দেখা গেছে।
শেয়ার করা ছবিতে দেখা যায় যে, খোলা চুলে মিষ্টি হাসিতে ডানা কাটা সাদা পোশাকে ভক্ত-অনুরাগীদের মধ্যে এক অনন্য লুকে ধরা দিয়েছেন এই অভিনেত্রী। মিষ্টি হাসি ও চোখের চাহনি যেনো ভক্তদের চোখ ফেরাতে দিচ্ছে না। সেই পোস্টে এই অভিনেত্রী একটি গানের লিরিক্স ক্যাপশনে লিখেন যার অর্থ হলো, ‘এমনভাবে হাসুন, যেনো আপনি স্বর্গের ফেরেশতা হিসেবে এসেছেন।’
পোস্টটি নেট মাধ্যমে আসার পর কমেন্ট বক্সে ভক্ত-অনুরাগীরা অভিনেত্রীর রূপের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। সাবিহা নামে একজন লিখেছেন, ‘মাশাল্লাহ খুবই সুন্দর লাগছে দোয়া করি এই সুন্দরটাই যেনো আপনার মনের ভেতরেও থাকে।’ আরেক অনুরাগী লিখেছেন, ‘দুইদিকে ডানা সাদা মেঘকন্যাকে দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে।’
উল্লেখ্য, বুবলির কর্মজীবন শুরু হয় সংবাদ পাঠ হিসেবে। তিনি বাংলাদেশের জনপ্রিয় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বাংলাভিশন-এ ২০১৩ সালে সংবাদ পাঠক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। তারপর ২০১৬ সালে বসগিরি চলচ্চিত্রের পরিচালক শামীম আহমেদ রনি তাকে এই চলচ্চিত্রটিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দিলে তিনি সম্মত হন। অপু বিশ্বাসকে এই চরিত্রের জন্য নির্বাচন করা হয়। পরবর্তীতে অপু বিশ্বাস নিজেকে এই চলচ্চিত্র থেকে সরিয়ে নিলে তার স্থানে বুবলিকে নির্বাচন করা হয়েছিলো।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org