দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মেটা মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক এবার কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের সুবিধার্থে নতুন কনটেন্ট মনিটাইজেশন প্রোগ্রাম নিয়ে এলো।
জানা গেছে, নতুন এই সংস্করণে কনটেন্ট ক্রিয়েটররা একক প্ল্যাটফর্ম থেকে বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট হতে অর্থ উপার্জনের সুযোগ পাবেন।
সম্প্রতি ফেসবুক তার নিউজ সেকশনে এই সংক্রান্ত তথ্য তুলে ধরে জানিয়েছে যে, নতুন এই সংস্করণে ইন-স্ট্রিম অ্যাডস, রিল অ্যাডস ও পারফরম্যান্স বোনাসকে এবার একটি একক প্ল্যাটফর্মে একত্রিত করা হয়েছে। আর এর মাধ্যমে কনটেন্ট ক্রিয়েটররা রিল, লং-ফরম্যাট ভিডিও ও অন্যান্য পোস্ট হতে উপার্জন করতে পারবেন।
আর এটি কেবলমাত্র রিল কিংবা ছোট ভিডিওর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং ফটো ও টেক্সট পোস্টও এটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাছাড়াও নতুন এই প্রোগ্রামে ‘পারফরম্যান্স বোনাস’ সিস্টেমও চালু করা হয়েছে। মূলত এটি ক্রিয়েটরদের কাজের গুণগত মান এবং দর্শকদের ওপর নির্ভর করে বোনাসও দেবে। যার মাধ্যমে ক্রিয়েটররা তাদের কাজের মান উন্নত করতে পারবেন ও যোগ্যতার মাধ্যমে তাদের আয় বাড়াতে পারবেন।
ফেসবুক এই নতুন মনিটাইজেশন প্রোগ্রামের মাধ্যমে ক্রিয়েটরদের জন্য আয় করা আরও বেশি সহজ করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ও টুলস জড়ো করছে। নতুন ইন-স্ট্রিম অ্যাডস ক্রিয়েটরদের দীর্ঘ ফরম্যাটের ভিডিও হতে উপার্জন করতে সহায়তাও করবে।
অপরদিকে, রিল অ্যাডস শুধু ছোট ভিডিওর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং অন্যান্য মিডিয়া পোস্টও এটি অন্তর্ভুক্ত হবে। তবে নতুন এই মনিটাইজেশন প্রোগ্রামটি উন্মুক্ত করা হবে ২০২৫ সালে। বর্তমানে এটি শুধুমাত্র নির্বাচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্যই ফেসবুকের বিটা ভার্সন এ চালু করা হয়েছে। বিটা ভার্সনে ১ মিলিয়ন ব্যবহারকারী এটি ব্যবহারের সুযোগ পাবেন বলে জানানো হয়েছে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org