দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের জন্য বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল, শিল্পকলা এবং গণিত (স্টিম) বিষয়ক কার্নিভালের আয়োজন করে গ্লেনরিচ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল। স্টিম সংশ্লিষ্ট বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবন প্রদর্শনের অনন্য এক সুযোগ তৈরি করে এই স্টিম কার্নিভাল।
কার্নিভালটি গত ১৯ অক্টোবর গ্লেনরিচ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের উত্তরা সিনিয়র ক্যাম্পাসে সকাল সাড়ে ৯টা হতে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়।
স্টিম (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল, শিল্পকলা এবং গণিত) তরুণদের জন্য সহযোগিতা ও প্রতিযোগিতাপূর্ণ পরিবেশে চিন্তা, জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা আদানপ্রদান এবং প্রত্যেকের নিজস্ব প্রকল্প প্রদর্শনের একটি প্ল্যাটফর্ম। স্টিম কার্নিভালে গ্রেড ৫-১২ এর শিক্ষার্থীরা তাদের প্রকল্প উপস্থাপন করার সুযোগ পায়। শিক্ষার্থীদের এসব প্রকল্প স্কুলের ভেতরের ও বাইরের বিচারকরা মূল্যায়ন করেন। এই আয়োজনে নিউটনের দোলনা, গ্যালাক্সি এবং সৌরজগত, হাইড্রোপনিক ফার্মিং, রোবোটিক আর্ম, কার্বন ডাই অক্সাইড এয়ার পিউরিফিকেশন, একটি এয়ার কুলার, একটি ড্রোন, সৌর ও চন্দ্রগ্রহণ সহ শিক্ষার্থীদের আরও নানান আকর্ষণীয় প্রকল্প উপস্থাপন করা হয়। শিক্ষার্থীরা স্টিম কার্নিভালের এই আনন্দ আয়োজনে নিজেদের বন্ধুবান্ধবদেরও নিয়ে আসে।
কার্নিভালটি সকলের জন্য উন্মুক্ত ছিল। গ্লেনরিচের পাশাপাশি ইন্টারন্যাশনাল হোপ স্কুল, আগা খান একাডেমি, সিঙ্গাপুর স্কুল ও কিন্ডারল্যান্ড সহ অন্যান্য স্কুলের শিক্ষার্থীরাও অংশগ্রহণ করে।
সকলের জন্য এই কার্নিভাল আরও উপভোগ্য করে তুলতে গ্লেনরিচ একটি পপ-আপ বইয়ের দোকান, মঞ্চনাটক, চিত্র প্রদর্শনী এবং বিভিন্ন স্টলের আয়োজন করে। এলিসিয়ান বিডস (কাপড়ের দোকান) এর সাথে এই আয়োজনে বেশ কিছু খাবারের স্টলও ছিল। ডি’স বিস্ট্রো, মোকজা, থান্ডা গরম এবং ওয়াফেল আপ এর মধ্যে অন্যতম। মেলায় দর্শক ও শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন পানীয়, সুশি, মোমো এবং অন্যান্য সুস্বাদু খাবার উপভোগ করেন।
এই কার্নিভাল সম্পর্কে গ্লেনরিচ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল উত্তরা’র অধ্যক্ষ ড. শিবানন্দ সিএস বলেন, “আমরা তরুণ উদ্ভাবকদের প্রতিভা বিকাশে সাহায্য করার মাধ্যমে একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে প্রত্যয়ী। এরই ধারাবাহিকতায় এই স্টিম কার্নিভালের আয়োজন করেছি আমরা। কার্নিভালে অংশগ্রহণকারীদের সৃজনশীলতা ও উদ্দীপনা ছিল অনুপ্রেরণাদায়ক। সকলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে এটি আবার প্রমাণ হয়েছে যে, শিক্ষা একইসাথে আনন্দদায়ক এবং অর্থবহ হতে পারে।”
গ্লেনরিচ সক্রিয়ভাবে স্টিম শিক্ষার প্রসারে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করছে। শিখন পদ্ধতিতে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল, শিল্পকলা ও গণিত (স্টিম) বিষয়ের ওপর গুরুত্বারোপ শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা রাখছে; যে কারণে শিক্ষা গ্রহণ আরও ফলপ্রসূ হচ্ছে।
# খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org