দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান সময়ে বেশ জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ইনস্টাগ্রাম। ফটো ও ভিডিও-শেয়ারিং এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারীদের মনে এক আলাদাই জায়গা করে নিয়েছে। ব্যবহারকারীদের জন্য আকর্ষণীয় করে তুলতে আরও সুবিধাও নিয়ে এলো মেটা।
যেখানে কাস্টম ভার্চুয়াল বিজনেস কার্ডের মতোই প্রোফাইল শেয়ার করা অনেকটা সহজ হয়ে উঠেছে। এর সাহায্যে ব্যবহারকারীরা প্রোফাইল সংক্রান্ত সকল তথ্য রাখতে পারবেন। অপরদিকে থাকবে একটি ইজি টু স্ক্যান কিউ আর কোড’ও।
জানা গেছে, এই আপডেটে লিঙ্ক, মিউজিক যোগ করে ব্যবহারকারীরা প্রোফাইল কার্ড কাস্টমাইজও করতে পারবেন। এমনকি নিজের পছন্দমতো যে কোনও ছবি ব্যবহার করেও কিউ আর কোডের ব্যাকগ্রাউন্ডকে কাস্টমাইজ করা যাবে। রেগুলার ও বিজনেস উভয় ধরনের ব্যবহারকারীরা এই ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন।
ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল কার্ড শেয়ার করবেন যেভাবে
প্রথমেই নিজের অ্যাকাউন্টে যেতে হবে। তারপর সেখানে গিয়ে প্রোফাইল ব্যানারে থাকা শেয়ার প্রোফাইল অপশনে ট্যাপ করতে হবে। এটি নিজের ডিভাইসে ডাউনলোড করা যায় বা তা ইনস্টাগ্রাম কিংবা এক্স, হোয়াটসঅ্যাপ, স্নাপচ্যাটসহ অন্যান্য প্ল্যাটফর্মেও শেয়ার করতে পারবেন।
জানানো হয়েছে, এর ব্যবহারকারীরা একাধিকবার প্রোফাইল কার্ড কাস্টোমাইজও করতে পারবেন। যারজন্য ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তন, কালার টোনের বদল, গান অ্যাড করা ইত্যাদির মতো বিকল্পের মাধ্যমেও তা করা সম্ভব।
অ্যান্ড্রয়েড বা আইফোনে ইনস্টাগ্রামের লেটেস্ট ভার্সন ব্যবহার করা হচ্ছে কি-না সেটি নিশ্চিত করতে হবে। তাহলেই ব্যবহারকারী নিজের পছন্দমতো প্রোফাইল কাস্টমাইজ করে সেটি শেয়ার করতে পারবেন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org