দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ব্যাচেলর পয়েন্ট নিয়ে টিন এজারদের মাতামাতির যেনো শেষ নেই। এই সিরিজটি শুরুর পর থেকেই সবাই মেতে ছিলেন। কিন্তু এই সিরিজের চতুর্থ সিজন শেষ হওয়ার পর সবাই অপেক্ষায় ছিলেন পঞ্চম সিজনের জন্য। এবার দর্শকদের সেই প্রত্যাশা পূরণ হতে চলেছে। আসছে ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট-৫’ জানালেন নির্মাতা অমি।
নাট্য নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি দর্শকদের জন্য আবারও নিয়ে আসতে যাচ্ছেন ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট-৫’ ধারাবাহিক নাটকটি।
তারুণ্যের উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনা ও যাপিত জীবনকে হাস্যরসের মাধ্যমে তুলে ধরেন অমি। দর্শক লুফে নেন তার সৃষ্টি। দর্শকদের আগ্রহে ধারাবাহিকটির দ্বিতীয় ও তৃতীয় এবং চতুর্থ সিজন নির্মাণ করেন তিনি। প্রতিটি সিজনেই ক্রমেই বেড়েছে দর্শক সংখ্যা।
চতুর্থ সিজন শেষ হওয়ার পর দর্শকরা ভেবে নিয়েছিলেন এখানেই হয়তো যবনিকা টানছেন পরিচালক। তবে না, ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’-এর পঞ্চম সিজন আসছে এবার। গণমাধ্যমে অমি নিজেই নিশ্চিত করেছেন বিষয়টি।
নাটকটি সম্পর্কে অমি বলেন, ‘হ্যাঁ, ব্যাচেলর পয়েন্ট ফাইভ নির্মাণের পরিকল্পনাও রয়েছে। তবে সবকিছুই এখন পর্যন্ত পরিকল্পনা পর্যায়েই রয়েছে। কাজ শুরু করিনি।’
এই নির্মাতা আরও জানিয়েছেন ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট ফাইভ বানাতেই পারি। দর্শকরা কবে থেকে পর্দায় দেখতে পারবেন, এই বিষয়ে এখনই নির্দিষ্ট করে কিছুই বলতে পারছি না। কারণ পুরো বিষয়টা পরিকল্পনা পর্যায়েই রয়েছে। সবকিছু ঠিক করে কিছুদিনের মধ্যে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে পারবেন আশা রাখি।
উল্লেখ্য, ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’-এর পূর্বের সিজনগুলোতে অভিনয় করেছেন জিয়াউল হক পলাশ, মারজুক রাসেল, চাষী আলম, মিশু সাব্বির, সাবিলা নূর, ফারিয়া শাহরিন, সানজানা সরকার রিয়া, সুমন পাটোয়ারি, আবদুল্লাহ রানা, শরাফ আহমেদ জীবন, মনিরা মিঠু, পাভেল, শিমুল, পারসা ইভানাসহ অনেকেই।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org