দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সম্প্রতি রাজধানী ঢাকার গুলশানে ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ৫০১তম পরিচালনা পর্ষদের সভায় তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক বিবরণী অনুমোদন করা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং ইউসিবি চেয়ারম্যান শরীফ জহির। ইউসিবির ভাইস-চেয়ারম্যান মো: সাজ্জাদ হোসেন, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান মো: ইউসুফ আলী, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান, এবং ইউসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ মামদুদুর রশীদসহ ঊর্ধ্বতন ব্যবস্থাপনা পর্ষদের সদস্যরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
তৃতীয় প্রান্তিকের হিসাব বিবরণী মতে, ইউসিবি ২০২৪ সালের প্রথম ৯ মাসে নিট মুনাফা ৩২% বৃদ্ধি পেয়েছে। কর-পরিশোধের পর ব্যাংকের নিট মুনাফা ২৬২ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। এই আয় গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৯৯ কোটি টাকা থেকে বেশি।
পর্ষদ সভায় জানানো হয় যে, ইউসিবির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ১.৩৩ টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ১.৭৫ টাকা হয়েছে, যেখানে শেয়ার প্রতি নেট অ্যাসেট ভ্যালু (এনএভি) ২৮.০৮ টাকা হতে ২৯.৪৬ টাকা বেড়েছে।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত, ব্যাঙ্কের মোট সম্পদের মূল্য ছিল ৭৪,৭৭৫ কোটি টাকা। ইউসিবির আমানত ৬% বৃদ্ধি পেয়ে ৫৪,৪৩৯ কোটি টাকায় পৌঁছেছে ও ঋণের পরিমাণ ১২% বৃদ্ধি পেয়ে ৫৬,৭৬১ কোটি টাকা হয়েছে। নন-পারফর্মিং লোন কভারেজ অনুপাত ৬৮% শক্তিশালী অবস্থানে দাঁড়িয়েছে।
পরিচালনা পর্ষদ বর্তমান চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে ব্যাংকের কর্মক্ষমতা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে ও আসন্ন ত্রৈমাসিকে এই প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার আহ্বান জানিয়ে উদ্ভাবনী ব্যাংকিং সমাধান প্রদান ও টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্য ইউসিবির প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।
খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org